সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজস্থান কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে নয়া মোড়। এবার দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোপ দেগে পর্যবেক্ষকের পদ ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা অজয় মাকেন (Ajay Maken)। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতার অভিযোগ, তাঁর সুপারিশ না মেনে কাজ করছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি রাজস্থানের গেহলটপন্থী বিধায়কদের শাস্তি দেওয়ার কথা সুপারিশ করলেও সেটা কার্যকর হয়নি।
আসলে, অক্টোবরে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের আগে নতুন করে রাজস্থানে ডামাডোল শুরু হয়। কংগ্রেসের (Congress) শীর্ষ নেতারা চাইছিলেন। অশোক গেহলট মরুরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ খালি করে এসে কংগ্রেসের সভাপতি হন। সেইমতো তাঁকে প্রস্তাবও দেওয়া হয়। গেহলট প্রথম থেকেই এই প্রস্তাবে গররাজি ছিলেন। তিনি কোনওভাবেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়তে রাজি ছিলেন না। শেষমেশ শীর্ষ নেতাদের চাপে দলের সভাপতি পদে লড়াই করতে রাজি হয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) বদলে নিজের ঘনিষ্ঠ কাউকে বসাতে চাইছিলেন। তাতে আবার রাজি ছিল না দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
এই পরিস্থিতিতে দলের সভাপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার দিন দুই আগে টালমাটাল চরমে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী পদে গেহলটের বিকল্প খুঁজতে দলের দুই পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং অজয় মাকেন রাজস্থানের বিধায়কদের বৈঠক ডাকেন। কিন্তু নাটকীয়ভাবে সেই বৈঠকে গেহলটপন্থী প্রায় ৯০ জন বিধায়ক গরহাজির ছিলেন। উলটে গেহলট পন্থী বিধায়করা স্পিকার সিপি জোশীর (CP Joshi) কাছে ছুটে যান ইস্তফা দিতে। তাঁদের স্পষ্ট দাবি ছিল, গেহলট ব্যতীত অন্য কাউকে তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী পদে দেখতে রাজি নন। দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে, এই বিধায়কদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের সুপারিশ করেন মাকেন।
কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যায়, বিদ্রোহী ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপই করেনি কংগ্রেস। স্রেফ শোকজ করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে তাঁদের। তাতেই ক্ষুব্ধ মাকেন। ক্ষোভে দলের রাজস্থানের পর্যবেক্ষকের পদও ছেড়ে দিলেন তিনি। যা রাজস্থান কংগ্রেসের জন্য নতুন সংকট তৈরি করবে। গুজরাট ভোটের আগে এই নতুন সংকট দলকে বেশ অস্বস্তিতে ফেলতে পারে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.