সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রবিবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) ‘বহুরূপী’ বলে কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস (Congress)। এবার তারা প্রশ্ন তুলল দিওয়ালির সময় রাজস্থানে (Rajasthan) সেনা জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রধানমন্ত্রীর সেনার উর্দি পরা নিয়েও। সোমবার সন্ধেয় যুব কংগ্রেসের টুইটার হ্যান্ডলে এবিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।
গত সাত বছর ধরে সেনাদের সঙ্গেই দিওয়ালি কাটাতে দেখা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথম দিওয়ালিতে সিয়াচেনে গিয়েছিলেন তিনি। সেই ধারা বজায় রেখে শনিবারও দিওয়ালি উপলক্ষে জয়সলমিরের (Jaisalmer) বিএসএফ জওয়ানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। লোঙ্গেওয়ালা সেনা চৌকিতে প্রধানমন্ত্রীর দিওয়ালি পালনের সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (সিডিএস) বিপিন রাওয়াত, সেনাপ্রধান এমএম নারাভানে, এয়ার চিফ মার্শাল আরকেএস ভাদোরিয়া এবং বিএসএফের ডিজি রাকেশ আস্থানা। ওইদিন ১৩০ কোটি ভারতবাসীর তরফে জওয়ানদের দীপাবলির অভিনন্দন জানান প্রধানমন্ত্রী।
ना तो ये सेना के प्रमुख हैं, ना हीं अधिकारी. फिर एक असैन्य नेता का सेना की वर्दी पहनना कहां तक उचित है? pic.twitter.com/I7FRB5ZkAw
— Youth Congress (@IYC) November 16, 2020
[আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিনের চূড়ান্ত পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু, আশা উজ্জ্বল করে ঘোষণা ভারত বায়োটেকের]
প্রধানমন্ত্রীর সেই সাক্ষাতের প্রসঙ্গ উত্থাপন করে হিন্দিতে করা ওই টুইটে যুব কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, ‘‘উনি সেনাবাহিনীর প্রধান কিংবা কর্মকর্তা কোনওটাই নন। অসামরিক নেতা হয়ে সেনার উর্দি পরাটা কি উচিত?’’ প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী গত বছর সেনাদের সঙ্গে দিওয়ালি উদযাপন করেছিলেন জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে। সেবারও সেনা পোশাকেই দেখা গিয়েছিল তাঁকে।
এর আগে গত রবিবার প্রধানমন্ত্রীকে ‘বহুরূপী’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ার। তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‘দেশ এর আগে বহু প্রধানমন্ত্রীকে দেখেছে। কিন্তু প্রথমবার এমন বহুরূপী প্রধানমন্ত্রীর দেখা মিলেছে। পরিস্থিতি বুঝে রূপ ধারণ করতে তিনি ভালই পারেন। কখনও চা বিক্রেতা, কখনও ১০ লাখের সুট পরে সাহেব, কখনও চৌকিদার আবার কখনও প্রধান সেবক। কখনও সাধু কখনও বা সেনা জওয়ান। বাহ! মোদিজি আপনার জবাব নেই।’’