Advertisement
Advertisement

Breaking News

Hijab

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই হিজাব পরে নমাজ পড়ুয়ার, তদন্তের নির্দেশ কর্তৃপক্ষের

হিন্দুত্ববাদীরা অভিযোগ জানায় ছাত্রীর বিরুদ্ধে।

Controversy of a Student In Hijab Offers Namaz In Madhya Pradesh College | Sangbad Pratidin

IMAGE CREDIT: istockphoto.com/ TerryJ

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 26, 2022 7:15 pm
  • Updated:March 26, 2022 8:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এবার মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) একটি কলেজে হিজাব (Hijab) পরে নমাজ পড়া নিয়ে বিতর্ক। একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা গিয়েছে, হরিসিং গৌর সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (Dr Harisingh Gour Sagar University) এক ছাত্রী শ্রেণিকক্ষেই হিজাব পরে নমাজ পড়ছেন। এই ঘটনায় ওই মুসলিম ছাত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদীরা। তাদের বক্তব্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধর্মীয় আচরণের জায়গা নয়, ছাত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় ঘটনার তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

এদিন এই বিষয়ে হরিসিং গৌর সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নীলিমা গুপ্ত বলেন, “ঘটনার তদন্তের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এইসঙ্গে ছাত্রছাত্রীদের বলা হয়েছে, তাঁরা যেন ধর্মীয় প্রার্থনা বাড়িতে করেন। বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনার জায়গা।” সংবাদ সংস্থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সন্তোষ শাহগৌড়া জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে হিজাব পরে নমাজ পড়ার অভিযোগ উঠেছে, একটি ভিডিও ক্লিপ পেয়েছি। তিনি বলেন, “পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, তিন দিনের মধ্য রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই বিষয়ে হরিসিং গৌর সাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মিডিয়া অফিসার বিবেক জয়সোয়াল বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও নির্দিষ্ট ড্রেস কোড নেই। কিন্তু ক্লাসে নিশ্চয় বেসিক এথিক্যাল ড্রেসিং পরে আসা উচিত পড়ুয়াদের।”

Advertisement

[আরও পড়ুয়া: টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র, বকেয়া না মেটালে কয়লাখনিতে ব্যারিকেড গড়ার হুঁশিয়ারি হেমন্ত সোরেনের]

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সাগর শাখার প্রধান উমেশ শরাফ অভিযোগ করেন, যে ছাত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি দীর্ঘদিন হিজাব পরে ক্লাসে আসছেন। উমেশ বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় আচরণ মেনে নেওয়া যায় না। ওই ছাত্রী দীর্ঘদিন ধরেই হিজাব পরে ক্লাসে আসছেন। শুক্রবার বিকালে দেখা যায় তিনি ক্লাসরুমে নমাজ পড়ছিলেন। বিষয়টি আপত্তিকর। কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সব ধর্মের মানুষ আসেন।”

Advertisement

[আরও পড়ুয়া: স্বামীকে গাছে বেঁধে চোখের সামনে মহিলাকে গণধর্ষণ, দাঁড়িয়ে দেখল বাকিরা, চাঞ্চল্য যোগীরাজ্যে]

কর্ণাটকের ঘটনার পর থেকেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় পোশাক নিয়ে সরগরম রাজনীতি। যা ওই রাজ্যের সীমা ছাড়িয়ে ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এদিকে অনেকে দাবি করেছেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ হওয়ায় ছাত্রীরা স্কুল-কলেজে আসতে পারছেন না। ফলে পরীক্ষায় বসতে সমস্যা হচ্ছে তাঁদের। সম্প্রতি এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ- হিজাব পরিধানের সঙ্গে পরীক্ষার কোনও সম্পর্ক নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ