সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: “কোনওরকম প্ররোচনায় পা দেবেন না। মাথা ঠান্ডা রাখুন।” রবিবার দিল্লি পুলিশের একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে এমনই মন্তব্য করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রবিবার ৭৩তম প্রতিষ্ঠা দিবসে দিল্লি পুলিশকে অভিভাবকের মতো একাধারে ধমক দিয়ে পরক্ষণেই প্রশংসা করে চমক দেন অমিত শাহ। তিনি বলেন, “মাথা গরম না করে শান্ত মাথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। নিজেদের রাগ, বিরক্তি প্রকাশ করা যাবে না।” পাশাপাশি এদিন বক্তব্য রাখার সময় তিনি পুলিশের ভূয়সী প্রসংশা করে বলেন, “পুলিশের কাজই হল শান্তি ও শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা বজায় রাখা। পুলিশ কারওর শত্রু নয়। শান্তির দূত হল পুলিশ।তাই জন সাধারণের কাজ হল তাদের যথোপযুক্ত সম্মান দেওয়া।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জানান, “পুলিশের সব কাজের সমালোচনা করাটা ঠিক নয়। পুলিশের কাজের ধরণ জনগণের বোঝা উচিত।”
তবে অমিত শাহ যতই নিজের দিল্লি পুলিশের কাজের প্রসংশা করুন না কেন এদিনই জামিয়া মিলিয়া কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ সামনে আসায় পুনরায় দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে পারদ চড়তে শুরু করেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের জল্পনা। ১৫ ডিসেম্বরের সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্টত দেখা যায়, দিল্লি পুলিশ মুখ ঢেকে নির্বিচারে ভাঙচুর চালাচ্ছে জামিয়া মিলিয়ার লাইব্রেরিতে। এর পরেরদিনই জামিয়ার পড়ুয়ারা মিছিল বের করলে ও পুলিশ তা আটকে দিলে তাদের উপর পাথর ছোঁড়ে ক্ষুব্ধ পড়ুয়ারা।
[আরও পড়ুন: মাঝ রাস্তায় আটকে দিল পুলিশ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ পেলেন না শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা]
অন্যদিকে, দিল্লির একদিকে প্রকল্পের উন্নয়ন ও অপরাধ প্রবণতা কমাতে দিল্লি পুলিশের ভূমিকার ও প্রশংসা করেন তিনি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এদিন স্মার্ট পুলিশ প্রকল্পের সূচনা করেন। এই প্রকল্পের আওতায় ১১২ নম্বরে ফোন করলেই কেন্দ্রীয় সরকারের নির্ভয়া ফান্ডের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা যাবে। সাইবার ক্রাইমের হাত থেকে রক্ষা পেতে জাতীয় অপরাধ দমন শাখার সঙ্গেও যোগাযোগ করা যেতে পারে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, হিম্মত প্লাস-সহ একাধিক অ্যাপের সাহায্যে পুলিশ জনগণের জনসংযোগকে সহজ করে তুলেছে। তিনি জানান, দিল্লি পুলিশ কেবল মাত্র ভারত নয়, সারা বিশ্বের মধ্যেই শ্রেষ্ঠ।
এদিন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের হাত ধরেই দিল্লি পুলিশের সূচনার কথা মাথায় রেখে গর্বান্বিতও হন অমিত শাহ। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, দেশের হয়ে কাজ করতে গিয়ে প্রায় ৩৫ হাজার পুলিশ এ পর্যন্ত প্রাণ দিয়েছেন।