BREAKING NEWS

১৩ আশ্বিন  ১৪৩০  রবিবার ১ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

ইচ্ছাকৃতভাবে গ্রিন সিগন্যাল! করমণ্ডল দুর্ঘটনায় অন্তর্ঘাত সন্দেহ ডিআরএমের

Published by: Monishankar Choudhury |    Posted: June 6, 2023 10:45 am|    Updated: June 6, 2023 11:04 am

Coromandel train accident: Khordha DRM suspects possible sabotage | Sangbad Pratidin

ফাইল ছবি।

সংবাদ প্রতিদিন ডিডিটাল ডেস্ক: নিছক দুর্ঘটনা, নাকি বৃহত্তর ষড়যন্ত্র! কোরমণ্ডল কাণ্ডে কন্সপিরেসি থিওরি ক্রমে বেড়েই চলেছে। সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রেল বোর্ড। এহেন পরিস্থিতিতে অন্তর্ঘাত হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন খোরদার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) রিঙ্কেশ রায়।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ডিআরএম রিঙ্কেশ রায় বলেন, “মেন লাইনে সিগনাল সবুজ ছিল। সবকিছু ঠিক থাকলে তবেই সবুজ সংকেত মেলে। সামনের লাইন ১০০ শতাংশ ফাঁকা না থাকলে সিগনাল প্রযুক্তিগতভাবে সবুজ হতেই পারে না। কোনও একটি ছোটখাটো ত্রুটির কারণেও সিগনাল লাল হয়ে থাকে। যদি না কেউ নিজে থেকে সব জেনে তা সবুজ করে দেন। এ ক্ষেত্রে, কেউ ইচ্ছা করে সিগনাল না দিলে তা সবুজ হতেই পারে না।”

২ জুন ওড়িশার বাহানাগা বাজারের কাছে করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনাগ্রস্থ হয়। প্রাথমিক তদন্তের পর সিগনালের ত্রুটির কথা বলেছিল রেল। কিন্তু পরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব অন্য ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, এই দুর্ঘটনার নেপথ্যে মানুষের হাত থাকতে পারে। ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার ও রেল বোর্ড। পৃথক ভাবে সোমবারই করমণ্ডল দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেন রেল সেফটি কমিশনার এএম চৌধুরী। রেলের ইন্টারলকিং সিস্টেমে কোনও কারসাজি করা হয়ে থাকতে পারে বলেও সন্দেহ করছেন কেউ কেউ। সবমিলিয়ে, উত্তরের চাইতে বর্তমানে প্রশ্ন বেশি।

[আরও পড়ুন: ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় ‘শোকস্তব্ধ’ রাজা চার্লস, ভারতের পাশে ব্রিটেন]

উল্লেখ্য, বালেশ্বরে তিনটি ট্রেনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা যাত্রীসুরক্ষা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। করমণ্ডল এক্সপ্রেস লাইনচ্যুত হওয়ার পরই বিরোধীরা সিগন্যালিং সিস্টেম নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) আবার বলেন, অ্যান্টি-কলিশন সিস্টেম না থাকার কারণেই এহেন ভয়ংকর রূপ নিয়েছে দুর্ঘটনা। এবার একটি চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে এনেছে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম। যেখানে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব রেলে প্রযুক্তগত উন্নতির জন্য বাজেটে একটি মোটা অঙ্কের অর্থ রবাদ্দ করা হয়েছিল। যে এলাকার আওতায় পড়ে বালেশ্বরও। কিন্তু গত তিন বছরে প্রযুক্তির জন্য একটি নয়া পয়সাও খরচ করা হয়নি।

[আরও পড়ুন: মাথার দাম কোটি টাকা, প্রয়াত ‘দণ্ডকারণ্যের কসাই’]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে