সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শীতের শুরুতে দেশবাসীকে স্বস্তি দিয়ে খানিকটা কমল দৈনিক করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮, ৭৭২ জন, মৃত্যু হয়েছে ৪৪৩ জনের। তবে সুস্থতার হার আরও অনেকটা বেশি। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৫ হাজার ৩৩৩ জন, রবিবার যা ছিল ৪২ হাজার ২৯৮ জন। গত সপ্তাহের তুলনায় এ সপ্তাহের প্রথম দিনের পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, শীতে সংক্রমণ বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হলেও, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ক্রমশই এগিয়ে চলেছে দেশ।
With 38,772 new #COVID19 infections, India’s total cases rise to 94,31,692
With 443 new deaths, toll mounts to 1,37,139 . Total active cases at 4,46,952
Total discharged cases at 88,47,600 with 45,333 new discharges in last 24 hrs. pic.twitter.com/PkglBuHpxm
— ANI (@ANI) November 30, 2020
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের সাম্প্রতিকতম বুলেটিন অনুযায়ী, এ নিয়ে দেশে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ৯৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৯২, যার মধ্যে এই মুহূর্তে অ্যাকটিভ রোগী ৪ লক্ষ ৪৬ হাজার ৯৫২ জন। এখনও পর্যন্ত করোনার বলি দেশের ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ১৩৯। একদিনে ৪৫, ৩৩৩ জন করোনামুক্ত হওয়ায় সুস্থ রোগীর সংখ্যা দেশে ৮৮ লক্ষ ৪৭ হাজার ৬০০। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৮ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৭৩। আইসিএমআর-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এ নিয়ে মোট ১৪,০৩,৭৯,৯৭৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে।
[আরও পডুন: প্রধানমন্ত্রী মোদির সুরক্ষায় আসছে ‘ড্রোন কিলার’, নিরাপত্তা বলয়ে ঢুকতে পারবে না মাছিও!]
সামগ্রিকভাবে দেশে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির দিকে গেলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে বেশ কয়েকটি রাজ্য। হরিয়ানা, রাজস্থান-সহ ৫ রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। এসব জায়গার বিভিন্ন জেলায় সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী হার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। সেসব নিয়ন্ত্রণ না করতে পারলে ফের পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যেতে পারে বলে আশঙ্কা। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের আসার কথা বাংলাতেও। যদিও এখানে পরিস্থিতি বর্তমানে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে।
[আরও পডুন: সিগারেট ধরাতে দেশলাই না দেওয়ায় দলিত কৃষককে পিটিয়ে খুন, উত্তেজনা মধ্যপ্রদেশে]
অন্যদিকে, করোনা প্রতিষেধক তৈরির কাজও চলছে জোরকদমে। শনিবারই দেশের তিনটি গবেষণাগার, যেখানে দিনরাত এক করে ভ্য়াকসিন তৈরির কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা, পরিদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আগামী বছরের মধ্যভাগে ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার আশা রয়েছে। তবে তার আগে পর্যন্ত মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাবধানতা এবং প্রতিরোধ ক্ষমতাই সবচেয়ে বড় অস্ত্র, মত বিশেষজ্ঞদের।