Advertisement
Advertisement

Breaking News

Coronavirus

করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আগে হাতে বাড়তি সময়, ছোটদের টিকাকরণে জোর ICMR’এর বিজ্ঞানীর

আগামী ৬ থেকে ৮ মাসের আগে তৃতীয় ধাক্কা আসবে না, মত কোভিড গ্রুপের চেয়ারম্যানের।

Third wave of coronavirus likely to attack not before 6 to 8 months, ICMR emphasises vaccination of children | Sangbad Pratidin
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:June 28, 2021 8:58 am
  • Updated:June 28, 2021 10:07 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আগে হাতে আরও কিছুটা সময় রয়েছে। এমনই আশার খবর শোনাল ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ (ICMR)। তাদের নতুন গবেষণা বলছে, আরও ৬ থেকে ৮ মাস পর তৃতীয় ধাক্কা দিতে পারে করোনা ভাইরাস (Coronavirus)। আর তা যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে হলে ছোটদের অর্থাৎ ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করে তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে হবে। রবিবার এমনই জানিয়েছেন ICMR’র কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এন কে অরোরা।

সপ্তাহ খানেক আগেই দেশের অন্যতম সেরা স্বাস্থ্যপ্রতিষ্ঠান দিল্লির এইমসের (AIIMS) প্রধান ডাঃ রণদীপ গুলেরিয়া সাবধানবাণী করেছিলেন, আর মাত্র দেড়মাসের মধ্যেই দেশে তৃতীয়বার থাবা বসাতে চলেছে কোভিড-১৯’এর (COVID-19) আরও শক্তিশালী স্ট্রেন। ডেল্টা প্লাসের ধাক্কা সামলাতে দেশবাসীর টিকাকরণে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন ডাঃ গুলেরিয়া। তবে চিকিৎসা গবেষণায় দেশের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান আইসিএমআরের সাম্প্রতিক গবেষণা শোনাল অন্য কথা। সংস্থার কোভিড গ্রুপের তরফে বলা হয়েছে, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসতে এখনও খানিকটা দেরি। সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে উৎসবের মরশুমের আগে তেমন কোনও আশঙ্কা নেই। তবে এই যে বাড়তি সময় হাতে পাওয়া গেল, তাতেই জোরকদমে প্রস্তুত হতে হবে তৃতীয় ধাক্কার মোকাবিলায়। এমনই পরামর্শ ICMR’এর কোভিড গ্রুপের শীর্ষকর্তা এন কে অরোরার। এ প্রসঙ্গে তিনি কমবয়সিদের টিকাকরণে জোর দিয়েছেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মানেকা গান্ধীকে ‘নিকৃষ্ট মহিলা’ বললেন বিজেপিরই বিধায়ক, বিতর্ক তুঙ্গে]

কেন্দ্রের লক্ষ্য, ডিসেম্বরের মধ্যে দেশবাসীর টিকাকরণ (Corona vaccination) সম্পূর্ণ করার। তবে তা ১৮ বছর বয়সী থেকে প্রবীণদের। এই আওতার বাইরে ছিল ছোটরা অর্থাৎ ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী ছেলেমেয়েরা। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে আইসিএমআর-এর কোভিড গ্রুপ মনে করছে, কাউকেই বাদ দেওয়া যাবে না। তৃতীয় ধাক্কা সামলাতে হলে জোর দিতেই হবে গোটা দেশবাসীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতায় এবং তার জন্য ১২ থেকে ১৭ বছরের বয়সীদেরও টিকাকরণ অতি জরুরি হয়ে উঠছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ড্রোন ‘হামলা’র কয়েকঘণ্টার মধ্যেই জম্মুর জনবহুল এলাকা থেকে উদ্ধার বোমা]

এ প্রসঙ্গে ডাঃ এন কে অরোরার পরামর্শ, ছোটদেরও টিকাকরণ শুরু হোক। ইতিমধ্যে কোভ্যাক্সিন এবং ডাইডাস-ক্যাডিলার জাইকোভের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ প্রায় শেষের পথে। এছাড়া আগামী অগাস্ট থেকে ২ বছরের শিশুদেহে করোনার ভ্যাকসিন কেমন কাজ করে, কোভ্যাক্সিন প্রয়োগ করে তারও পরীক্ষা শুরু করবে ভারত বায়োটেক। আর সেসব পরীক্ষা শেষে দ্রুত যদি ছোটদের টিকাকরণের কাজ শুরু হয়, তাহলেই রুখে দেওয়া যাবে করোনার ভয়াবহ তৃতীয় ধাক্কা। কিন্তু প্রশ্ন হল, বছরের প্রথম থেকে শুরু হওয়া বড়দের টিকাদানের গতিই যেখানে এতটা কম, সেখানে ছোটদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার কতটা নজর দেওয়া সম্ভব?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ