Advertisement
Advertisement
বিজয় মালিয়ার

ব্যাংকের ঋণ মেটাতে বিক্রি করা যাবে বিজয় মালিয়ার সম্পত্তি, নির্দেশ আদালতের

এদেশের ব্যাংকগুলিতে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ রয়েছে মালিয়ার।

Court permits banks to sell assets seized from Mallya
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:January 1, 2020 3:15 pm
  • Updated:January 1, 2020 4:12 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের আদালতে ধাক্কা খেলেন ঋণখেলাপি বিজয় মালিয়া (Vijay Mallya)। ভারতের ব্যাংকগুলি চাইলেই তাঁর বাজেয়াপ্ত সম্পত্তি নিলামে তুলে নিজেদের ঋণের টাকা উসুল করে নিতে পারবে। এমনই নির্দেশ দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ED) এক বিশেষ আদালত।

ফেরার ব্যবসায়ীকে দেশে ফেরানো নিয়ে লন্ডনে ভারতীয় এজেন্সিগুলির আইনি লড়াই চলছে। এর মধ্যেই মহাগুরুত্বপূর্ণ রায় দিল মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালত। ইডির সূত্রের খবর, প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং  অ্যাক্ট (Prevention of Money Laundering Act, 2002)অনুযায়ী গঠিত বিশেষ আদালত জানিয়ে দিয়েছে, বিজয় মালিয়ার ঋণ শোধ করতে বাজেয়াপ্ত হওয়া যাবতীয় সম্পত্তি নিলাম করা যাবে। আগামী ১৮ জানুয়ারির পরই তাঁর সব সম্পত্তি বিক্রি করতে পারবে ব্যাংকগুলি। তবে, ওই সময়ের মধ্যে বম্বে হাই কোর্টে আবেদন করতে পারবে সব পক্ষই।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাজ্যের হস্তক্ষেপ এড়াতে নয়া কৌশল, অনলাইনে CAA চালুর ভাবনা কেন্দ্রের]

মুম্বইয়ের এই বিশেষ আদালতের রায়ে খুশি ব্যাংকগুলি। বম্বে হাই কোর্ট যদি এই আদালতের রায়ে স্থগিতাদেশ না দেয়, তাহলে মালিয়ার ঋণে একটি বড় অংশই তাঁর সম্পত্তি বেঁচে উদ্ধার করে নেওয়া যাবে। ব্যাংকগুলির ধারণা, এখনও পর্যন্ত মালিয়ার যে পরিমাণ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে, তার আনুমানিক মূল্য প্রায় ৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মধ্যবিত্তের মাথায় হাত, বছরের শুরুতেই বাড়ল রান্নার গ্যাসের দাম]

ভারতের মোট ১৩টি ব্যাংকে ৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি ঋণ রয়েছে মালিয়ার। ঋণখেলাপির তকমা গায়ে নিয়েই এদেশ থেকে পালিয়ে লন্ডনে গিয়ে আশ্রয় নেন মালিয়া। কিন্তু,সেখানেও বেশিদিন লুকিয়ে থাকতে পারেননি লিকার ব্যারন। ঋণখেলাপি ও কর ফাঁকি-সহ একাধিক অভিযোগে ২০১৭ সালের এপ্রিলে স্কটল্যান্ডে ইয়ার্ডের হাতে গ্রেপ্তার হন তিনি। গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই অবশ্য জামিনও পেয়ে গিয়েছিলেন। মালিয়া যে লন্ডনে রয়েছেন, তা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই লিকার ব্যারনকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করছে একাধিক তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু, আইনি গ্যাঁড়াকলে তা এখনও সম্ভব হয়ে ওঠেনি। এই পরিস্থিতিতে, তাঁর সম্পত্তি বাজেয়াপ্তো হওয়াকেই প্রাথমিক সাফল্য হিসেবে দেখছে ইডি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ