Advertisement
Advertisement

Breaking News

উত্তরপ্রদেশ

সরকারি কোভিড হাসপাতালে ‘পশুর মতো আচরণ’ করা হচ্ছে! বিক্ষোভ যোগীর রাজ্যে

সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের।

COVID patients on

ফাইল ফটো

Published by: Paramita Paul
  • Posted:May 29, 2020 5:32 pm
  • Updated:May 29, 2020 5:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখনও গেটের বাইরে থেকে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে খাবার। আবার কখনও একই ঘরে একাধিক করোনায় আক্রান্ত সন্দেহভাজনদের রাখা হচ্ছে। কোথাও আার মিলছে না খাবার। অপর্যাপ্ত জলের ব্যবস্থাও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও হাসপাতালে এহেন অমানবিক ছবি বারবার সামনে এসেছে। এবার সেই চরম অব্যবস্থার বিরুদ্ধে সরব হলেন প্রয়াগরাজের এক সরকারি হাসপাতালের রোগীরা। তাঁদের প্রশ্ন, “আমরা কি পশু! আমাদের সঙ্গে কেন এমন ব্যবহার করা হচ্ছে?” সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ায় ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে রীতিমতো প্রতিবাদে শামিল রোগীরা। তবে দ্রুত সমস্যা মিটে গিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক।

যোগী আদিত্যনাথ শাসিত উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও হাসপাতালের মর্মান্তিক চিত্র বারবার সামনে এসেছে। কয়েক দিন আগেই একই ঘটনা ঘটেছিল আগরার এটাওয়া জেলায়। এই সমস্ত প্রতিবাদের ও ভিডিওবার্তার জেরে কোভিড হাসপাতালে মোবাইল ফোন ব্যবহারেই নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছিল যোগী সরকার। সমালোচনার মুখে সে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বাধ্য হয় তারা। এবার প্রতিবাদে ফেটে পড়লেন প্রয়াগরাজের কোটোয়া বানি এলাকার একটি কোভিড হাসপাতালের রোগীরা। তাঁদের অভিযোগ, “মানুষ হিসেবে ন্যূনতম সুবিধাটুকুও পাচ্ছি না। পশুদের চেয়েও অধম ব্যবহার করা হচ্ছে। না মিলছে খাবার। না মিলছে জল।” রীতিমতো আধসেদ্ধ খাবার খেতে দেওয়া হচ্ছে তাদের। এক রোগীর প্রশ্ন, “আমরা কি জানোয়ার? আমাদের জলের দরকার নেই?” কেউ কেউ বলছেন, টাকার বিনিময়ে যদি ভাল পরিষেবা দিতে হয়, তাহলে তাই যেন তাঁদের দেওয়া হয়। একইসঙ্গে তাঁদের হুঁশিয়ারি, “এরকম চলতে থাকলে আমরা বাড়ি চলে যাব”।

Advertisement

[আরও পড়ুন : লকডাউনে নয়া উদ্যোগ, প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের অত্যবশ্যকীয় পণ্য পৌছে দেবে SpiceJet]

প্রয়াগরাজের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অবশ্য দাবি, জলের সমস্যা দু’ঘণ্টায় মিটে গিয়েছিল। আর কোনও সমস্যা নেই। তাঁর কথায়, “বিদ্যুৎ বিভ্রাটের জন্য সরাসরি জল সরবরাহে সমস্যা হয়েছিল। আমরা দু’ঘণ্টায় মিস্ত্রি ডেকে সারিয়ে নিয়েছি। এমনিতে হাসপাতালের ট্যাঙ্কে জল ছিল। কিন্তু রোগীদের দাবি স্নানের জন্য তাঁদের সরাসরি ফ্রেশ জল এনে দিতে হবে। আমরা দ্রুত দাবি পূরণ করেছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন : বাড়ির সামনে থেকে উধাও গৌতম গম্ভীরের বাবার গাড়ি, প্রশ্নের মুখে দিল্লির নিরাপত্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ