Advertisement
Advertisement

বামেদের চিন-প্রীতি নিয়ে প্রশ্ন!

দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে বামেদের৷ তলানিতে ঠেকতে ঠেকতে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে তাদের এখন প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে তিন দশকেরও বেশি শাসক দলের ভূমিকায় ছিল তারা, বর্তমানে সেখানেও শুরু হয়েছে অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই৷ অথচ দেশজুড়ে এই শোচনীয় অবস্থা সত্ত্বেও চীন প্রীতি কমছে না তাদের৷

CPM slams Modi and support China, what kind of equation is this?
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 10, 2016 3:13 pm
  • Updated:June 10, 2016 4:14 pm

দেবশ্রী সিনহা: দেশজুড়ে ইতিমধ্যেই অস্তিত্বের সংকট দেখা দিয়েছে বামেদের৷ তলানিতে ঠেকতে ঠেকতে মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি রাজ্যে তাদের এখন প্রভাব দেখা যাচ্ছে৷ পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে যেখানে তিন দশকেরও বেশি শাসক দলের ভূমিকায় ছিল তারা, বর্তমানে সেখানেও শুরু হয়েছে অস্তিত্ব বাঁচানোর লড়াই৷ অথচ দেশজুড়ে এই শোচনীয় অবস্থা সত্ত্বেও চীন প্রীতি কমছে না তাদের৷
মার্কিন মুলুকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দৌত্য, মিসাইল টেকনোলজি কণ্ট্রোল রেজিমে (এমটিসার) ভারতের সদস্য হওয়া ও পরমাণু সরবরাহ গোষ্ঠীতে (এনএসজি) ভারতকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা নিয়ে দেশজুড়ে কূটনৈতিক মহলের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা পাচ্ছে মোদি সরকার৷ অন্যদিকে, তখনই বামেরা ব্যস্ত হয়ে পড়ল প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনায় মুখর হতে৷ তাদের বক্তব্য, চিনকে চাপে রাখতেই এহেন পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত৷ এনএসজিতে ভারতের সদস্যপদ নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করে এসেছে চিন৷ তার পরেও বামেদের ভূমিকায় প্রশ্ন উঠছে৷
বৃহস্পতিবার সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি দাবি করেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকেই ভারতের অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত৷ তাঁর মত, আমেরিকার সঙ্গে ভাল সম্পর্ক গড়ে তোলার একটাই লক্ষ্য, চিনও পাকিস্তানকে চাপে রাখতে চাওয়া৷ তার চেয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর দিকে বেশি করে নজর দেওয়াকেই গুরুত্ব দেন তিনি৷ ইয়েচুরি দাবি করেন, “ভারত সবসময়ই প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে৷ কিন্তু মার্কিন মুলুকে প্রধানমন্ত্রীর এহেন পদক্ষেপের পর ভারত মহাসাগরীয় এলাকায় আমেরিকার দাপট বাড়বে৷ যাদের অন্যতম লক্ষ্য চিনকে কোণঠাসা করা৷’’
পাশাপাশি তিনি কটাক্ষ করে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্র্যাটেজিক জুনিয়ার পার্টনার হওয়ার অর্থ বিভিন্ন বিষয়ে আমেরিকার স্বার্থসি‌দ্ধি করা৷ বিশেষ করে অসামরিক পরমাণু কর্মসূচি ও প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে৷ এমনকী, ‘লজিস্টিক এক্সচেঞ্জ মেমোরান্ডাম’ চুক্তির ক্ষেত্রেও ইয়েচুরির বক্তব্য, “ভারতকে আমেরিকার প্রয়োজনমতো বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে তাদের বায়ুসেনাকে ইন্ধন জোগাতে হবে৷ ভাগ করে নিতে হতে পারে গোয়েন্দা সংস্থার গোপনীয় তথ্যও৷” সিপিআইএম দাবি করেছে, এই সব বিষয় নিয়েই যেন সংসদের ভিতরে আলোচনা হয়৷ তাদের দাবি, বিদেশ নীতির ক্ষেত্রে বড় পরির্বতন হলে তা নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হওয়া উচিত৷ ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তরফ থেকে বুধবার জারি করা হয় যৌথ বিবৃতি৷ যেখানে এমটিসিআর-এ ভারতের সদস্য হওয়ার পর, দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিভিন্ন চুক্তির বিষয়ে ঘোষণা করা হয়৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ