Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফণী, পুরী

পুরীতে ব্যাপক তাণ্ডব ফণীর, সতর্কতা সত্ত্বেও প্রাণহানি

ফণীর দাপটে লন্ডভন্ড ওড়িশার প্রায় ১১টি জেলা৷

Cyclonic storm wrecks havoc in Puri, several dead
Published by: Sayani Sen
  • Posted:May 3, 2019 1:42 pm
  • Updated:May 3, 2019 4:48 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগাম সতর্কতা ছিল৷ মোকাবিলায় ব্যবস্থাপনাতেও ছিল না কোনও খামতি৷ তবু রোখা গেল না প্রাণহানি৷ প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণীর দাপটে ওড়িশায় এখনও পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে৷

[ আরও পড়ুন: স্মার্টফোনে এই অ্যাপের মাধ্যমে এক ক্লিকেই জেনে নিন ফণীর আপডেট]

বৃহস্পতিবার রাত থেকে পুরীর আবহাওয়ার অবনতি হতে শুরু করে৷ ভারী বৃষ্টির সঙ্গে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া৷ শুক্রবার বেলা বারোটা নাগাদ ঘূর্ণিঝড় ফণী ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়বে বলেই আশঙ্কা করেছিলেন আবহবিদরা৷ কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত সময়ের ঘণ্টাতিনেক আগেই স্থলভাগে ঢুকে পড়ে প্রবল শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়৷ সকাল ৮টা ৫০ মিনিট নাগাদ আছড়ে পড়ে ফণী৷ প্রায় ২০০ কিলোমিটার বেগে বইতে থাকে ঝোড়ো হাওয়া৷ সঙ্গে প্রবল বৃষ্টি৷ জোড়া ফলায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত ওড়িশার অন্তত ১১টি জেলা৷ বহু কাঁচা বাড়ির চাল উড়ে গিয়েছে৷ স্থানীয়দের দাবি, প্রবল ঝড়ে উড়ে গিয়েছে কারও কারও বাড়ি বা হোটেলের জলের ট্যাঙ্ক৷ বহুতল হোটেলগুলিও ঝড়বৃষ্টির দাপটে কাঁপছিল বলেও মনে হয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীদের৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র পর তাণ্ডব চালাবে ভারতের ‘বায়ু’]

বহু জায়গায় উপড়ে গিয়েছে গাছপালা৷ গোটা পুরীজুড়েই ব্যাহত বিদ্যুৎ সংযোগ৷ ইন্টারনেট পরিষেবাও ব্যাহত৷ ঘূর্ণিঝড়ে তীব্রতায় আতঙ্কিত স্থানীয়রা৷ প্রবল ঝড়বৃষ্টির ভয়ে কাঁটা প্রত্যেকেই৷ ইতিমধ্যেই কেন্দাপাড়ার আশ্রয় শিবিরে ঝড়ের দাপটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান এক বৃদ্ধা৷ সাক্ষীগোপাল এবং নয়াগড়ে গাছ পড়ে মারা গিয়েছেন আরও দু’জন৷ মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ 

Advertisement

পুরী, জগৎসিংপুর, কেন্দ্রপাড়া, ভদ্রক, বালাসোর, ময়ূরভঞ্জ, গজপতি, গঞ্জাম, খুরদা, কটক-সহ বেশ কয়েকটি জেলার অন্তত ১১ লক্ষ মানুষকে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ ত্রাণশিবির খুলে সেখানে শুকনো খাবার এবং জলের পাউচ প্যাকেটও মজুত রাখা হয়েছে৷ পুরীর পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছেন মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক৷ প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় যোগাযোগ রাখছেন তিনি৷ পরিস্থিতি যাই হোক না কেন, মোকাবিলায় প্রস্তুত বলেই জানিয়েছেন আধিকারিকরা৷ বেশ কয়েকটি হেল্পলাইন নম্বরও চালু করা হয়েছে৷ প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে নজর রেখেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক৷ দফায় দফায় প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছেন তিনি৷ 

এদিকে, ফণীর দাপটে পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রেখেছেন নরেন্দ্র মোদিও৷ রাজস্থানের জনসভা থেকে তাঁর আশ্বাস, দুর্যোগ মোকাবিলায় ১০০ শতাংশ তৈরি কেন্দ্র৷ জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও প্রস্তুত৷ দুর্গতদের পাশে থাকার সবরকম আশ্বাস দিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি৷

দেখুন ভিডিও:

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ