সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইতিহাসের গর্ভগৃহে আজও লুকিয়ে রয়েছে বহু অজানা তথ্য। বিশেষ করে ভারতবর্ষের ইতিহাস সমৃদ্ধ প্রাচীনত্বের অঢেল ভান্ডারে। তেমনই এক অবাক করা তথ্য সামনে নিয়ে এলেন বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ঠাকুরপ্রসাদ বর্মা। তাঁর দাবি, মহেঞ্জদড়ো সভ্যতার অন্যতম নিদর্শন ‘নৃত্যরতা যুবতী’র মূর্তিটি আসলে দেবী পার্বতীর।
১৯২৬ সালে মহেঞ্জদড়োর “এইচআর অঞ্চলে” পাওয়া যায় ৪.১ ইঞ্চির এই ব্রোঞ্জের মূর্তিটি। গবেষকদের ধারণা প্রায় ৪,৫০০ বছর পুরনো এই ‘নৃত্যরতা যুবতী’। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ হিস্টরিক্যাল রিসার্চের ‘ইতিহাস’ নামক এক হিন্দি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে ঠাকুরপ্রসাদ বর্মার এই গবেষণাপত্র। যেখানে ঠাকুরপ্রসাদ জানিয়েছেন, মহেঞ্জোদাড়োর বাসিন্দারা প্রধানত হিন্দু ধর্ম মানতেন। তাঁদের আরাধ্য দেবতা ছিলেন শিব। প্রাচীন সভ্যতার শিং ওয়ালা যোগীমূর্তিটিই এর প্রমাণ বলে দাবি করেছেন ঠাকুর।
তাঁর বক্তব্য, যেখানে শিব থাকবেন, সেখানে শক্তির অস্তিত্বও থাকবে। সেই কারণেই ব্রোঞ্জের নৃত্যরতা নারীমূর্তিটিকে দেবী পার্বতী বলে দাবি করেছেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক। যদি তাঁর বক্তব্যের কোনও যথাযথ প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে ভারতীয় ইতিহাসের পাতায় নতুন পরিবর্তনের সূচনা হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।