Advertisement
Advertisement

Breaking News

দুধেই কি ছিল বিষ? আজও রহস্যে মোড়া লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু

কিসের বা কার ভয়ে সবাই আজও চুপ?

Death mystery of Lal Bahadur Shastri remains unsolved
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 2, 2019 11:53 am
  • Updated:October 2, 2019 11:53 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে পালিত হচ্ছে ভারতের প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর ১১৬তম জন্মবার্ষিকী। যথারীতি তাঁর ছবিতে মালা চড়িয়ে গুণগান করেছেন শাসক বিরোধী উভয় শিবিরের কর্তা-ব্যক্তিরা। তবে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী, মাটির মানুষ শাস্ত্রীর মৃত্যু প্রসঙ্গ উঠলেই সবাই মুখে কুলুপ আঁটেন। কি হয়েছিল সেদিন? কিসের বা কার ভয়ে সবাই আজও চুপ? মেলেনি এসব প্রশ্নের উত্তর।

[আরও পড়ুন: এবার উত্তরপ্রদেশেও NRC! বাংলাদেশিদের শনাক্ত করে বিতড়নের নির্দেশ যোগীর]

Advertisement

যাই হোক না কেন, ভারত-পাক যুদ্ধের পর তাসখন্দের ঘটনাবলির উপর নজর দিলেই কিছুটা হলেও ছবি স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এই প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্যের বিশ্লেষণ পাঠক নিজের মতো করতেই পারেন!

Advertisement

১৯৬৬ সালের ১০ জানুয়ারি তাসখন্দ চুক্তি স্বাক্ষর করেন শাস্ত্রী। তার কয়েক ঘণ্টা পরই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় তাঁর। হৃদরোগে মৃত্যু হয়েছিল তাঁর, না তাঁকে বিষ দেওয়া হয়, এই প্রশ্নের উত্তর আজও মেলেনি। অজ্ঞাত কারণে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। এমনিতে লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে রয়েছে নানা জল্পনা। অনেক প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি আজও। ফলে ‘জয় জওয়ান, জয় কিষান’ মন্ত্রের হোতা শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে জনমানসে আজও রয়েছে অসীম কৌতূহল। শাস্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু নিয়ে অটলবিহারী বাজপেয়ী থেকে শুরু করে জর্জ ফার্নান্ডেজ অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু ক্ষমতায় থাকাকালীন সেই রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা সেই অর্থে কেউই করেননি।

শাস্ত্রীর মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী গুলজারিলাল নন্দার দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁর পরিবারের লোকজন। ময়নাতদন্তের দাবিও জানিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই দাবি খারিজ করে দেন নন্দা। তারপর থেকেই বতাসে ভাসতে শুরু করে নানা জল্পনা। তবে ধোঁয়া থাকলে আগুন যে থাকবেই, তা বলাই বাহুল্য। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের শেষে তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের মধ্যস্ততায় তাসখন্দে (বর্তমান উজবেকিস্তানের রাজধানী) ১০ জানুয়ারি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করে দুই দেশ। সেখানেই একটি বাড়িতে শাস্ত্রীর রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেছিল সোভিয়েত সরকার। চুক্তি স্বাক্ষরের পর বাড়িতে ফিরে আসেন শাস্ত্রী। উপস্থিত ছিলেন ভারতের রাষ্ট্রদূত টি এন কাউল। সেই অভিশপ্ত রাতে কাউলের নিজস্ব রাঁধুনি জান মহম্মদের হাতের খাবার খেয়েছিলেন শাস্ত্রী। রাত ১১.৩০ মিনিটে জান মহম্মদের এনে দেওয়া এক গ্লাস দুধও খান তিনি। তারপরই রাত ১.৩০ নাগাদ অসুস্থ বোধ করেন তিনি। তড়িঘড়ি তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসককে খবর দেওয়া হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।

তাৎপর্যপূর্ণভাবে, শাস্ত্রীকে বিষ দেওয়া হয়েছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি। গ্রেপ্তার করা হয় শাস্ত্রীর রুশ খানসামা আহমেদ সাতারভকে। এমনকী তাঁর দেহ দেশে ফিরলে দেখা যায় নীল হয়ে গিয়েছে শাস্ত্রীর শরীর। কিন্তু এত কিছু ঘটা সত্ত্বেও অদ্ভুতভাবে ময়নাতদন্তে বাদ সাধেন নন্দা। রহস্যজনকভাবে গাড়ি চাপা পড়ে মারা যান শাস্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ও তাঁর দুই ছেলে। শাস্ত্রীর মৃত্যু নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছিলেন প্রয়াত বিশিষ্ট সাংবাদিক কুলদীপ নায়ার। এছাড়াও শাস্ত্রীর মৃত্যুর অন্যতম সন্দেহভাজন জান মহম্মদকে রাষ্ট্রপতি ভবনে কাজে নিয়োগ করা হয়। সব মিলিয়ে আজও রহস্যে মোড়া লালবাহাদুর শাস্ত্রীর মৃত্যু।

[আরও পড়ুন: চিনের কাছে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মিসাইল, ৩০ মিনিটে পৌঁছবে আমেরিকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ