Advertisement
Advertisement
Qutub minar

কুতুব মিনারে হিন্দু ও জৈন মন্দির পুনরুদ্ধারের মামলা খারিজ করল দিল্লি আদালত

আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দাবিকেই স্বীকৃতি আদালতের।

Delhi court defers passing order in Qutub minar case | Sangbad Pratidin
Published by: Paramita Paul
  • Posted:June 10, 2022 12:46 pm
  • Updated:June 10, 2022 1:34 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কুতুব মিনার চত্বরে মন্দির পুনরুদ্ধার (Temple restoration) সম্পর্কিত মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি কোর্ট (Delhi court)। কুতুব উল ইসলাম মসজিদে ২৭টি হিন্দু মন্দির ও জৈন মন্দির পুনরুদ্ধারের দাবি জানিয়ে এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল। এদিকে কুনওয়ার মহেন্দ্র সিং নামে এক ব্যক্তির দাবি, দক্ষিণ দিল্লির অধিকার তাঁরই। এই ব্যক্তি নিজেকে রাজ পরিবারের বংশধর বলে দাবি করেন আদালতে। তাঁর আরজির শুনানি প্রসঙ্গে অতিরিক্ত জেলাশাসক দীনেশ কুমার জানিয়েছেন, আগামী দিনে এই মামলাটির শুনানি হবে। 

[আরও পড়ুন: HS Exam Result 2022: প্রকাশিত এ বছরের উচ্চমাধ্যমিকের ফল, পাশের হার ৮৮ শতাংশের বেশি]

মহেন্দ্র সিং নামের ওই ব্যক্তির আইনজীবী এম এল শর্মার দাবি, ১৯৪৭ সালে তাঁর মক্কেলের পূর্বপুরুষ রাজা রোহিণীরমন ধওয়াজ প্রসাদের জীবদ্দশায় ভারত স্বাধীন হয়েছিল। তিনি ১৯৫০ সাল পর্যন্ত মীরাট থেকে আগ্রা পর্যন্ত চারটি এস্টেটের মালিক ছিলেন। আদালতে তিনি জানান স্বাধীনতার পরে তৎকালীন জওহরলাল নেহরু সরকারের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের সঙ্গে কোনও সন্ধি চুক্তি করা হয়নি, এমনকী সংযুক্তিকরণের পথেও হাঁটেনি সরকার, অধিগ্রহণও হয়নি, ক্ষতিপূরণও দেওয়া হয়নি।

Advertisement

মহেন্দ্র সিং অভিযোগ করেছেন এতদিন দিল্লি সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ (UP) সরকার কোনও আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ না করেই তার আইনগত অধিকার হরণ করেছে। তার আইনজীবী দাবি করেছেন তিনি মামলাটি পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তদন্ত করেছেন এবং তাঁর মক্কেলের সম্পত্তির আইনি অধিকার রক্ষা করাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: HS Result 2022: প্রথম দশের মেধাতালিকায় ২৭২ জন, ৯৯.৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম কোচবিহারের অদিশা]

প্রসঙ্গত কিছুদিন আগে দাবি ওঠে, কুতুবউদ্দিন তাঁর শাসনকালে হিন্দু (Hindu) ও জৈন মিলিয়ে মোট ২৭টি মন্দির ধ্বংস করেছেন। সেই ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের জায়গায় গড়ে তুলেছিলেন মসজিদ। এই মামলাটি গোড়াতেই থামিয়ে দিয়েছিল আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। জানানো হয়, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য স্থাপত্য খনন করে মাটি তছনছ করা চলবে না। পরে আবার একই দাবি জানিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। গতকাল এই মামলারই শুনানি হওয়ার কথা ছিল।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ