সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্ভয়া ধর্ষণ মামলায় তিন দোষীর আরজি খারিজ করল পাতিয়ালা হাউস কোর্ট। তিহার জেল কর্তৃপক্ষের কাছে কেস ডায়েরি-সহ অন্যান্য নথিপত্র চেয়ে আবেদন জানিয়েছিল বিনয় শর্মা, পবন গুপ্তা ও অক্ষয় কুমার সিং। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ সেই নথি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন তাদের আইনজীবী এ পি সিং। আর তাই তার মক্কেলরা আদালতে কিউরেটিভ আরজি জানাতে পারছে না বলেও দাবি করেন তিনি। এ নিয়ে শুক্রবার পাতিয়ালা হাউজ কোর্টের দ্বারস্থ হন তাদের আইনজীবী।শনিবার তাদের সেই আরজি খারিজ করে দিল পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট। এদিন বিচারক জানিয়ে দেন, আর কোনও নথির প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি এদিন সরকারি আইনজীবীর তরফে আদালতে জানানো হয়, জেল কর্তৃপক্ষ সমস্ত নথি দিয়ে দিয়েছে।এরপরই ধর্ষকদের আরজি খারিজ করে দেন বিচারক।
এদিকে আগেই মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আরজি খারি্জ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। এবার সেই আরজি খারিজকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হচ্ছেন তার আইনজীবী ভিনদা গ্রোভার। শনিবার সংবাদ সংস্থা ANI-কে একথা জানান তিনি।
2012 Delhi gang-rape case: Convict Mukesh Kumar Singh, has moved the Supreme Court challenging the rejection of mercy petition by President of India, says Vrinda Grover, lawyer for Mukesh Kumar Singh. pic.twitter.com/qPO6IRgL2L
— ANI (@ANI) January 25, 2020
[আরও পড়ুন : বিদেশ ভ্রমণের পরিকল্পনা? ট্রাফিক আইন না মানলে মিলবে না ভিসা]
ইতিপূর্বে নির্ভয়ার ধর্ষক পবন গুপ্তার স্পেশাল লিভ পিটিশন বা SLP খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। পবনের আরজি ছিল, অপরাধের সময় সে না কি নাবালক ছিল। কিন্ত তা আদালতে প্রমাণ করতে পারেনি দোষী। তাই তার আরজি খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে দিল্লি হাই কোর্টও তার এই আবেদন খারিজ করেছিল। ফলে এবার প্রাণ বাঁচাতে কিউরেটিভ আবেদন জানাতে পারে পবন। তবে বিচার প্রক্রিয়ায় নতুন কোনও পদ্ধতিগত ত্রুটি দেখাতে না পারলে, সেই পথও বন্ধ। একমাত্র রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আরজি জানাতে পারে সে।
[আরও পড়ুন : নারী নিরাপত্তায় জোর, দিল্লির পথে ট্যাক্সির স্টিয়ারিং ধরলেন মহিলারা]
এর আগে নির্ভয়ার আরেক ধর্ষক মুকেশ সিংয়ের প্রাণভিক্ষার আরজি খারিজ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। ফলে পবনের সেই চেষ্টা কতটা ফলপ্রসু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। ক্রমাগত আইনি জটিলতার জেরে পাতিয়ালা হাউস কোর্টের নির্দেশ মতো ১ ফেব্রুয়ারি চার দোষীর আদৌ ফাঁসি হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তবে এদিন পাতিয়ালা হাউস কোর্টে বাকিদের আরজি খারিজ হয়ে যাওয়ায় ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি হওয়ার পথে তেমন কোনও বাধা রইল না বলে মনে করছেন আইনজীবীদের একাংশ।