সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাত্র সাত বছরে ৩০ শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! দোষী প্রমাণিত হওয়ার পরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দিল দিল্লির (Delhi) রোহিণী কোর্ট। বুধবার এই রায় দিয়েছে দিল্লির আদালত। চলতি মাসেই আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল এই ব্যক্তি। তার সর্বোচ্চ সাজার আবেদন করেছিল দিল্লি পুলিশ। সেই মতোই রায় দিয়েছে আদালত।
জান গিয়েছে, রবিন্দর কুমার নামে ওই ব্যক্তি আদতে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বাসিন্দা। ১৮ বছর বয়সে কাজের সন্ধানে দিল্লিতে আসে সে। ২০০৮ সালে দিল্লিতে এসেই অপরাধের শুরু। মাদক সেবন করে একের পর এক শিশুকে ধর্ষণ ও খুন করতে থাকে। ২০১৫ সাল পর্যন্ত দিল্লির নানা প্রান্তে এহেন নৃশংসতা চালিয়ে গিয়েছে রবিন্দর। অবশেষে সিসিটিভিতে ধরা পড়ে তার কুকীর্তি। সেই ফুটেজ দেখেই রবিন্দরকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।
[আরও পড়ুন: আধুনিক বিজ্ঞানের সব সূত্র এসেছে বেদ থেকেই! দাবি খোদ ইসরো চেয়ারম্যানের]
তাকে জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসে পুলিশের কাছে। জানা গিয়েছে, প্রত্যেক দিন মাদক নিয়ে বস্তি থেকে বেরিয়ে পড়ত। মূলত পথশিশুদের চকোলেটের লোভ দেখিয়ে অপহরণ করত সে। তারপরে কোনও নির্জন স্থানে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করত। মৃতদেহ কোথাও ফেলে দিয়ে পালিয়ে যেত। এভাবেই একটি সেপটিক ট্যাঙ্কে মৃতদেহ ফেলতে গিয়ে সিসিটিভিতে তার ছবি ধরা পড়ে। তার ভিত্তিতেই ২০১৫ সালে রবিন্দরকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।
দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চলার পর চলতি মাসের ৬ তারিখ দোষী সাব্যস্ত হয় রবিন্দর। গত সপ্তাহেই তার শাস্তি ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দোষীর সম্পত্তির বিবরণ না থাকায় সাজা ঘোষণা করা হয়নি। অবশেষে বুধবার শাস্তি ঘোষণা করল আদালত। শুনানি চলাকালীন দিল্লি পুলিশের তরফে একাধিকবার আবেদন করা হয়, রবিন্দরকে প্রাণদণ্ড দেওয়া হোক। সেই আবেদনেই সায় আদালতের।
[আরও পড়ুন: আরসিবিতে সুযোগ মেলেনি, ‘খেপ’ খেলে বেড়ানো ইঞ্জিনিয়ারই রোহিতের মুম্বইয়ের নতুন তারা]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- ১৮ বছর বয়সে কাজের সন্ধানে দিল্লিতে আসে সে। ২০০৮ সালে দিল্লিতে এসেই অপরাধের শুরু।
- ২০১৫ সাল পর্যন্ত দিল্লির নানা প্রান্তে এহেন নৃশংসতা চালিয়ে গিয়েছে রবিন্দর। অবশেষে সিসিটিভিতে ধরা পড়ে তার কুকীর্তি। সেই ফুটেজ দেখেই রবিন্দরকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ।
- মূলত পথশিশুদের চকোলেটের লোভ দেখিয়ে অপহরণ করত সে। তারপরে কোনও নির্জন স্থানে শিশুটিকে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে খুন করত।