Advertisement
Advertisement

Breaking News

খুন করে স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গে ‘যৌনসঙ্গম’ স্বামীর

মাস তিনেক হল বিয়ে হয়েছিল দু’জনের৷ সেই হিসেবে ‘হনিমুন পিরিয়ড’ চলার কথা ছিল দিল্লির প্রদীপ শর্মা এবং তার সদ্য-বিবাহিতা স্ত্রী মণিকার৷ কিন্তু চলল আর কই! অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার রাতেও বাড়ি ফিরে মণিকার সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় প্রদীপের৷ প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন দাম্পত্যের খুনসুটি চলছে দু’জনের তাই আর মাথা ঘামাননি কেউই৷ কিন্তু সেই ঝগড়াই পরিণত হয় হাতাহাতিতে৷

Delhi man killed his wife, had sex with corpse in drunk state
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 6, 2016 3:16 pm
  • Updated:June 6, 2016 3:16 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মাস তিনেক হল বিয়ে হয়েছিল দু’জনের৷ সেই হিসেবে ‘হনিমুন পিরিয়ড’ চলার কথা ছিল দিল্লির প্রদীপ শর্মা এবং তার সদ্য-বিবাহিতা স্ত্রী মণিকার৷ কিন্তু চলল আর কই! অন্যান্য দিনের মতো শুক্রবার রাতেও বাড়ি ফিরে মণিকার সঙ্গে ঝগড়া শুরু হয় প্রদীপের৷ প্রতিবেশীরা ভেবেছিলেন দাম্পত্যের খুনসুটি চলছে দু’জনের তাই আর মাথা ঘামাননি কেউই৷ কিন্তু সেই ঝগড়াই পরিণত হয় হাতাহাতিতে৷ স্ত্রীর মাথা দেওয়ালে ঠুকে দেয় প্রদীপ৷ একবার নয় অনেকবার এমন ভাবে মাথা ঠোকার কারণে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় মণিকার৷ এতেই ক্ষান্ত হয়নি প্রদীপ৷ স্ত্রীর মৃতদেহর সঙ্গেই যৌনসঙ্গম করে সে৷ তারপর পাশে শুয়ে ঘুমিয়েও পড়ে৷ সকালে ঘুম ভাঙতে তার হুঁশ ফেরে৷ অনেকবার ডেকেও যখন ওঠে না মণিকা, তখন বুঝতে পারে স্ত্রীকে খুন করেছে সে৷ বাড়ি ছেড়ে পালায় সে৷ তবে সফল হয়নি৷ দিন দুয়েক পালিয়ে থাকার পর উত্তরপ্রদেশের নাঙ্গলোই রেলস্টেশন থেকে প্রদীপকে ধরে দিল্লি পুলিশ৷

পুলিশি জেরায় প্রদীপ জানিয়েছে, মাস তিনেক বিয়ে হলেও স্ত্রী মণিকার সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া হত তার৷ আর্থিক কষ্টের কারণে প্রায়ই এদিক ওদিক ভাড়ার বাড়ি পাল্টাতে হত তাদের৷ এই নিয়েই দু’জনের মধ্যে অশান্তি হয়৷ পশ্চিম দিল্লির নিহাল বিহারে একচিলতে ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে ভাড়া থাকত পেশায় ই-রিকশা চালক প্রদীপ৷ গত ৩০ মে সেই ভাড়া বাড়িও প্রদীপদের ছাড়তে বলে তাদের বাড়িওয়ালা৷ এই নিয়ে শুরু হয় দু’জনের ঝগড়া৷ ঝগড়ার ফলে মণিকার মুখে আধলা ইট দিয়ে আঘাত করে প্রদীপ৷ তারপর দেওয়ালে মাথাও ঠুকে দেয়৷ রক্তক্ষরণের কারণে মৃত্যু হয় মণিকার৷ পুলিশের দাবি, মদ্যপ প্রদীপ স্ত্রীর রক্তমাখা মুখটা জল দিয়ে পরিষ্কার করে মৃতদেহর সঙ্গেই সঙ্গম করে প্রদীপ৷ রাতে মৃতদেহর পাশে শুয়েই ঘুমিয়ে পড়ে প্রদীপ৷ সকালে ঘুম ভাঙলে বুঝতে পারে স্ত্রীকে খুন করেছে সে৷ তখন মোবাইল, টাকা পয়সা এবং জরুরি তথ্যপ্রমাণ নিয়ে মৃতদেহকে ঘরের মধ্যে তালাবন্ধ করে রেখে পালিয়ে যায় সে৷ পালাবার আগে উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে বাবাকে ফোন করে ঘটনার কথা জানায় সে৷ অনেক বেলাতেও মণিকাদের না দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন তাদের বাড়িওয়ালা৷ দরজা ভেঙে উদ্ধার হয় মণিকার মৃতদেহ৷ বুলন্দশহরেও যায় দিল্লি পুলিশের একটি দল, সেখানেও পাওয়া যায়নি প্রদীপকে৷ দিন দুয়েক নিখোঁজ থাকার পর নাঙ্গলোই রেল স্টেশন থেকে পলাতক ওই ই-রিকশা চালককে ধরে দিল্লি পুলিশের একটি দল৷ জেরায় নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করেছে প্রদীপ৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ