Advertisement
Advertisement
Delhi Murder

ফ্রিজে প্রেমিকার দেহ, ফ্ল্যাটে অন্য মহিলার সঙ্গে আফতাব, দিল্লির খুনে প্রকাশ্যে বিস্ফোরক তথ্য

কিমার মতো কুচানো হয়েছিল শ্রদ্ধার দেহ, জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Delhi Murder accused brought girlfriend after killing live in partner | Sangbad Pratidin
Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:November 15, 2022 10:37 am
  • Updated:November 15, 2022 12:47 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লিতে (Delhi) লিভ-ইন পার্টনার খুনে প্রকাশ্যে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, ঠাণ্ডা মাথায় লিভ ইন পার্টনারকে খুন করে তাঁর দেহের কিছু অংশ কিমা করে ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিল অভিযুক্ত আফতাব। এমনকি ওই দেহাংশ ফ্রিজে থাকাকালীনই প্রেমিকাকে নিয়ে ফ্ল্যাটে সময়ও কাটিয়েছেন অভিযুক্ত। সব মিলিয়ে প্রকাশ্যে আসছে একের পর এক বিস্ফোরক তথ্য। প্রসঙ্গত, খুনের ঘটনার প্রায় ছ’মাস পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আফতাবকে।

অভিযুক্তকে জেরা করে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। আগে থেকেই খুনের পরিকল্পনা করে রেখেছিল আফতাব। সেই জন্যই নতুন ফ্রিজ কিনেছিল সে। লিভ-ইন পার্টনার শ্রদ্ধাকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ওই নতুন ফ্রিজে তুলে রেখেছিল। তদন্তকারী অফিসাররা আরও জানিয়েছেন, খুন করার পরে শ্রদ্ধার দেহের বেশ কিছু অংশ কিমার মতো কুচিয়েছিল আফতাব। নামী রেস্তরাঁয় শেফ হিসাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েই নিপুণ হাতে মৃতদেহ কুচিয়েছিল সে।

Advertisement

[আরও পড়ুন:নেতাজির জন্মদিনে ‘জাতীয় ছুটি’র আবেদন, কেন্দ্রের কোর্টে বল ঠেলে মামলা খারিজ সুপ্রিম কোর্টে]

ইউটিউব ভিডিও দেখে, গুগল সার্চ করে খুনের প্রমাণ লোপাট করেছিল আফতাব। খুনের পর কীভাবে বাড়ি পরিষ্কার করতে হবে, ইন্টারনেটে সেই নিয়ে বিশদ ভাবে পড়াশোনা করেছিল সে। এত কাণ্ড ঘটানোর পরেও নির্বিকারভাবেই জীবন যাপন করৎ আফতাব। শ্রদ্ধার বন্ধুদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলত। তাছাড়াও শ্রদ্ধার ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে কেনাকাটাও চালিয়েছে আফতাব।

Advertisement

বাড়িতে ফ্রিজের মধ্যে শ্রদ্ধার দেহাংশ লুকিয়ে রেখেই অন্য মহিলাদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়েছিল সে। জানা গিয়েছে, একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমেই একজন মনোবিদের সঙ্গে আলাপ হয় আফতাবের। নিজের ফ্ল্যাটে সেই মনোবিদের সঙ্গে সময় কাটাত সে। তদন্তকারী অফিসাররা আরও জানতে পেরেছেন, মার্কিন ওয়েব সিরিজ ডেক্সটার দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিল আফতাব। সেই সিরিজের মতো করেই গোটা খুনের বিষয়টি পরিকল্পনা করেছিল সে। কিছুদিন পরে ফ্রিজ থেকে দেহাংশ বের করে দিল্লির নানা জায়গায় ছড়িয়ে দিয়েছিল আফতাব।

দীর্ঘদিন ধরে মেয়ের খোঁজ না পেয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন শ্রদ্ধার বাবা। তদন্ত করতে নেমেই আফতাবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দিল্লির নানা জায়গা থেকে বেশ কিছু দেহাংশও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে সেগুলি শ্রদ্ধারই কিনা, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। আপাতত পাঁচ দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখা হয়েছে অভিযুক্ত আফতাবকে।

[আরও পড়ুন: রাশিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রসংঘে প্রস্তাব পেশ ইউক্রেনের, ভোটদানে বিরত ভারত-পাকিস্তান]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ