সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঈশ্বর কৃপা? না কি হার না মানার জেহাদ?
এই বিতর্ক আপাতত দূরে থাক। বরং, চোখ রাখা যাক এভারেস্টের শৃঙ্গে। আর দুর্গাপুরের ৫৮ বছরের পরেশচন্দ্র নাথের দিকে। হাতের একটি পাঞ্জা না থাকা সত্ত্বেও সব বাধা দূরে সরিয়ে এভারেস্ট জয় করে নিতে যাঁর তিল মাত্র অসুবিধে হয়নি।
খবরটা যে বাঙালির পক্ষে গৌরবের, সন্দেহ নেই। বিশেষ করে, কেন না যে দলে পরেশ ছিলেন, সেই দলটিই বাঙালির। সাত বাঙালির এই দলই আজ ভোর সাড়ে পাঁচটায় পা রেখেছে এভারেস্টের শীর্ষে।
স্বাভাবিক ভাবেই মলয় মুখোপাধ্যায়, সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, গৌতম ঘোষ, সুনীতা হাজরা, সুভাস পাল, পরেশচন্দ্র নাথ, রুদ্রপ্রসাদ হালদারের কাছে আজকের দিনটা খুব অন্য রকম। সারা বছর এঁদের কাটে কোনও না কোনও চাকরিতে মাথা গুঁজে। কিন্তু, প্রতি মুহূর্তেই হাতছানি দেয় তুষারমোড়া পাহাড়। ডাকে পাহাড়ি বাঁক ছুঁয়ে আসা শৈত্যপ্রবাহ। চোখে ঠিকরে ওঠে বরফে ঝলসে ওঠা আলো। সেই ডাকেই সাড়া দিয়ে তাঁদের এভারেস্ট যাত্রা।
তবে, বিশেষ করে নাম করতেই হয় পরেশচন্দ্র নাথের। বয়স, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সব কিছু তুচ্ছ করেই মোট তিন বার এভারেস্ট আরোহণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। সফল হলেন এই তিন নম্বরে।
এছাড়াও এ দিন এভারেস্ট শৃঙ্গ জয় করলেন এক দম্পতি। চেতনা এবং প্রদীপ সাহু একসঙ্গে উঠেছেন এভারেস্টের শিখরে। এমনটা সচরাচর শোনা যায় না। পরেশচন্দ্রের মতো তাঁরাও কিন্তু তিন বারের চেষ্টায় সফল হয়েছেন।
এই সাত বাঙালিকে বাদ দিলে আর একজনের নাম করতেই হয়। তিনি নেপালের লাকপা শেরপা। তিন সন্তানের এই জননী এই নিয়ে ৭ বার পায়ে পায়ে ছুঁয়ে এলেন এভারেস্ট শৃঙ্গ। ২০০২ থেকে ২০০৬-এর মধ্যেই তিনি এভারেস্ট আরোহণ করেছেন সাকুল্যে ৬ বার। এবার তাঁর সাফল্য বৃদ্ধি পেল আরও একবার।