সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নাগরিকত্ব বিল ইস্যুতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন ভোটকৌশলী তথা জেডিইউ নেতা প্রশান্ত কিশোর। নিজের দলের বিরুদ্ধে গিয়ে পিকে বুঝিয়ে দিলেন, তিনি কোনওভাবেই এই বিলকে সমর্থন করেন না। এমনকী, বিলটিকে সমর্থন করার জন্য জেডিইউ নেতৃত্বকেও তোপ দেগেছেন প্রশান্ত। তাঁর সাফ কথা, গান্ধীজির আদর্শে চলা কোনও দল এই ধরনের ‘বিভেদকামী’ বিলকে সমর্থন করতে পারে না।
তৃণমূলের ভোটকৌশলী হওয়ার পাশাপাশি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের দল জেডিইউ-এর সহ-সভাপতি প্রশান্ত কিশোর। তৃণমূল কংগ্রেস সংসদে এই বিলের তীব্র বিরোধিতা করেছে। আবার জেডিইউ বিলটিকে সমর্থন করেছে। প্রশান্ত নিজের দলের পক্ষে না গিয়ে তৃণমূলের সুরেই কথা বললেন। একটি টুইটে তিনি লিখছেন, ” ধর্মের ভিত্তিতে যে বিল নাগরিকত্ব নিয়ে ভেদাভেদ করে, সেই নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলকে জেডিইউ সমর্থন করছে। এটা দেখে আমি হতাশ। এটা দলের সংবিধানও সমর্থন করে না। দলের সংবিধানের প্রথম পাতাতেই তিনবার ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ কথাটা লেখা আছে। তাছাড়া জেডিইউ নেতৃত্বও গান্ধী বাদ মেনে চলার অঙ্গীকার করেছে।” আসলে, নিজের দলের সিদ্ধান্তকে একেবারেই সমর্থন করতে পারছেন না প্রশান্ত কিশোর। সেকারণেই হয়তো, প্রকাশ্যে এভাবে দলের তথা নাগরিকত্ব সংশোধনীর বিরোধিতা করা।
[আরও পড়ুন: মুসলিমরা আবেদন করলেও বিবেচনা করা হবে, নাগরিকত্ব ইস্যুতে সুর নরম অমিতের!]
এই প্রথম নয়, এর আগেও বিজেপির একাধিক সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছেন পিকে। এনআরসির বিরোধিতাতেও সরব হয়েছে তাঁর কলম। অথচ, এই প্রশান্ত কিশোরই একটা সময় বিজেপির হয়ে কাজ করতেন। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রচারের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। মোদিকে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে বসানোর পিছনে পিকের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আছে বলে মনে করেন অনেকেই। তারপর বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে তাঁদের সঙ্গ ছাড়েন পিকে। গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে ছাড়ার পর থেকেই তাঁদের বিরুদ্ধে তোপ দাগছেন প্রশান্ত।
Disappointed to see JDU supporting #CAB that discriminates right of citizenship on the basis of religion.
— Prashant Kishor (@PrashantKishor) December 9, 2019
It’s incongruous with the party’s constitution that carries the word secular thrice on the very first page and the leadership that is supposedly guided by Gandhian ideals.