Advertisement
Advertisement
স্বেচ্ছামৃত্যু

কর্মজীবনে হতাশা, স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি যুবকের

বাবা, মায়ের প্রতি অসীম ভালবাসা থেকেই এই সিদ্ধান্ত।

disappointed With Career, Pune Man Seeks Permission For Euthanasia
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 12, 2019 4:32 pm
  • Updated:May 12, 2019 4:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পড়াশোনা শেষ করে একটা চাকরি। হ্যাঁ, এটাই অধিকাংশ মধ্যবিত্ত যুবক-যুবতীর স্বপ্ন। কিন্তু সেই চাকরি যদি মনের মতো না হয়, তাহলে? কর্মজীবনের অস্বস্তি মানুষের জীবনে কতটা বিপর্যয় নামিয়ে আনতে পারে, তা কিছুটা হলেও স্পষ্ট হল পুণের এক ঘটনায়। চাকরি নিয়ে হতাশার জেরে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন করলেন পুণের এক যুবক।

[আরও পড়ুনভোটের ফলাফল কী হবে? ভবিষ্যদ্বাণী করল পঞ্জিক ]

Advertisement

জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের পুণের বাসিন্দা বছর ৩৫-এর ওই যুবক। ছোট থেকেই বেশ মেধাবী ছিলেন তিনি। পড়াশোনা শেষে চাকরিও মিলে যায় তাঁর। কিন্তু প্রথম থেকেই চাকরি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট ছিলেন না তিনি। এক পর্যায়ে মানসিক অবসাদে ভুগতে শুরু করেন তিনি। এরপরই এক মারাত্মক সিদ্ধান্ত নেন। জানা গিয়েছে, চাকরি জীবনের হতাশার কারণ জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের দপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানান ওই যুবক। এ বিষয়ে দত্তাবাদি থানার ওসি দেবীদাস ঘেওয়ারে জানান, চিঠিটি ১৫ থেকে ২০ দিন আগে লেখা। চিঠিটিতে লেখা ছিল, “বেশ কিছুদিন ধরেই আমার  মনে হচ্ছে আমি আমার বাবা, মায়ের জন্য কিছুই করে উঠতে পারছি না। আমি যা চাকরি করি তাতে আমার পক্ষে বিয়ে করাও সম্ভব নয়। আমার জীবন অসম্পূর্ণ৷ সেই কারণেই আমি স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানাচ্ছি।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: মেঘলা আকাশে কাজ করবে না রাডার, এয়ারস্ট্রাইক নিয়ে মোদির যুক্তিতে হতবাক দেশ]

জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ওই যুবকের মা। তাঁর বয়স ৭০ এর কাছাকাছি এবং তাঁর বাবার বয়স ৮৩। সূত্রের খবর, অনিচ্ছা সত্ত্বেও দীর্ঘদিন ধরেই ওই চাকরি করায় একটা সময়ে যুবকের ধারণা হয় যে তিনি বাবা, মাকে সুখী রাখতে সমর্থ হচ্ছেন না। যদিও ওই যুবকের পারিবারিক অবস্থা যথেষ্ট স্বচ্ছল বলেই জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পর পুলিশ আধিকারিকরা দফায় দফায় ওই যুবকের সঙ্গে কথা বলেন। আপাতত সুস্থ রয়েছেন ওই যুবক। চিঠিতে বিয়ের বিষয়টি লেখা থাকলেও মূলত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও মনের মতো চাকরির অভাব এবং বাবা, মা’র প্রতি অসীম ভালোবাসা থেকেই জীবন থেকে স্বেচ্ছায় মুক্তি পেতে চেয়েছিলেন তিনি, জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ