Advertisement
Advertisement

Breaking News

দিল্লিতে মোদি-মমতা বৈঠক, আলোচনা রাজ্যের বকেয়া প্রকল্প নিয়ে

বিরোধিতার পর্দা সরে গিয়ে খেলছে সৌজন্যের হাওয়া।

Discussed pending projects and state share of West Bengal, says Mamata after meeting Modi
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 10, 2017 6:39 am
  • Updated:December 16, 2019 3:58 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজনৈতিক মহলে তাঁদের বিরোধিতা সুবিদিত। কখনও নির্বাচনী প্রচারে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। কখনও রাজ্যের কাজে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপ হচ্ছে দাবি করে রণংদেহী হয়ে উঠেছেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজনীতির ময়দানে কেউ কাউকে বিনাযুদ্ধে সূচাগ্র মেদিনী দিতে নারাজ। এহেন পরিস্থিতিতেই দিল্লিতে বৈঠকে বসলেন নরেন্দ্র মোদি ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

রাজ্যের ক্ষেত্রে এ বৈঠক যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিভিন্ন সময় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বিমাতৃসুলভ ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থাভাব বা ঋণ মকুবের মতো বিষয় নিয়ে বারেবারে দরবার করেছেন। কিন্তু তেমন কিছুই ফল মেলেনি বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। সাধারণ মানুষের স্বার্থে ধারবাহিকভাবে তার বিরোধিতা করেছেন মমতা। এমনকী দিল্লিতে গিয়েও প্রতিবাদী স্বর পৌঁছে দিতে কসুর করেননি। তবে সে দিল্লিযাত্রা আর এ দিল্লি সফরের মধ্যে আকাশপাতাল ফারাক আছে বলেই মানছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। কেননা এবার বিরোধিতার পর্দা সরে গিয়ে খেলছে সৌজন্যের হাওয়া।

Advertisement

 উপলক্ষ অবশ্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফর ও তিস্তা চুক্তি রূপায়ণ। যদিও সে চুক্তির জট এখনও কাটেনি। পরিবর্তে বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছেন মমতা। রুখা-শুখা তিস্তার বদলে অন্যান্য নদীর জল বাংলাদেশকে দিয়ে এ সমস্যা মেটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন। তার জন্য কমিটি গঠনেরও আবেদন জানিয়েছেন তিনি। হাসিনার সঙ্গে আলাদা করে এ ব্যাপারে বৈঠকও করেছেম মমতা। এই সূত্রেই আগেও দেখা হয়েছে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। রাজ্য কেন্দ্র সম্পর্কে, বিশেষ নোট বাতিল পরবর্তী অধ্যায়ে, মোদি-মমতা সম্পর্কে যে তিক্ততার আঁচ করে থাকেন বিশেষজ্ঞরা, এখানে তাঁর লেশমাত্র নেই। আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। প্রায় মিনিট কুড়ির এ বৈঠকে রাজ্যের বিভিন্ন বকেয়া প্রকল্প ও দাবি দাওয়ার কথা তুলে ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী তা খতিয়ে দেখার আশ্বাসও দিয়েছেন। বৈঠক শেষে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই সে কথা জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে ভেঙে যাচ্ছে বলে একাধিকবার অভিযোগ তুলেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী এই তিস্তা চুক্তির জন্য হাসিনার সফরের আগেও ক্ষোভ প্রকাশ করে জানিয়েছিলেন, তাঁকে অন্ধকারে রেখেই তিস্তা চুক্তি স্বাক্ষর হতে চলেছে। যদিও বাস্তবে তা হয়নি। বরং মুখ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবই বিবেচনা করে দেখা হচ্ছে। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এ সফর তাই সন্তোষজনক। আর আজকের এই বৈঠক রাজ্য-কেন্দ্র সম্পর্কে নতুন আলো ফেলবে বলেই বিশ্বাস বিভিন্ন শিবিরের।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ