সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একটু গরম তুলতুলে মোমো হলে বিকালটা জমে যায়। ভেজ মোমোর পাশাপাশি চিকেন মোমোর স্বাদ অতুলনীয়। এখন তো কোথাও কোথাও মোমোর পুরে ভেটকি মাছ কিংবা পাঁঠার মাংসও দেওয়া হয়। কিন্তু কখনও কী ভেবে দেখেছেন, ওই মাংস আসলে কীসের? আর যদি শোনেন ওই মোমোতে ব্যবহার করা হয়েছে কুকুরের মাংস! তাহলে? যে কারওই পেটের ভাত উঠে আসার জোগাড় হবে। এমনই অভিযোগের আঙুল উঠেছে মোহালির এক মোমো কারাখানার দিকে। সেখানকার ফ্রিজ থেকে উদ্ধার হয়েছে কুকুরের কাটা মাথা। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, মোহালির মাতাউরে একটি বাড়ির ভিতরে প্রায় ২ বছর ধরে ওই মোমোর কারখানাটি চলছে। সেখান থেকে চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা এবং কালকা এলাকায় মোমো সরবরাহ করা হয়। প্রতিদিন এক কুইন্টালেরও বেশি মোমো, স্প্রিং রোল তৈরি হয় এই কারখানায়। সম্প্রতি এখানকার একটি ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। যেখানে দেখা যায় মোমো তৈরির জন্য নোংরা জল এবং পচা সবজি ব্যবহার করা হচ্ছে। সেই ভিডিও নিয়ে স্থানীয়রা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানান।
সেই অভিযোগের ভিত্তিতে স্বাস্থ্য ও খাদ্য সুরক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা ওই মোমো কারখানায় অভিযান চালান। প্রথমে পচা মাংস, সবজি, পুরনো তেল উদ্ধার করা হয়। তারপর ভিতরের আরেকটি ফ্রিজ থেকে উদ্ধার আস্ত একটা কুকুরের মাথা। যা পশুচিকিৎসা বিভাগে পাঠানো হয়। এদিকে, কারখানার শ্রমিকদের বক্তব্য, এই মাংস কোনওভাবেই গ্রাহকদের খাদ্যে ব্যবহার করা হয়নি। কারখানায় কর্মরত নেপালি কর্মীদের খাবার হিসেবে রাখা হয়েছিল। ওই কারখানায় অভিযান চালানোর পাশাপাশি আশপাশের কয়েকটি খাবারের দোকান থেকেও পচা খাদ্য সামগ্রী উদ্ধার হয়। সেই সব অস্বাস্থ্যকর খাবার, নোংরা রান্নার সামগ্রী ও পচা শাকসবজি বাজেয়াপ্ত করেন আধিকারিকরা। এই ঘটনায় এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয়দের আশঙ্কা, দীর্ঘদিন ধরেই ওই কারখানায় মোমো ও অন্যান্য খাবারে কুকুরের মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে। ওই কারখানা নিয়ে ব্যাপকভাবে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.