Advertisement
Advertisement

Breaking News

সুপ্রিম কোর্টে তিরস্কৃত কারনান

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরিয়ে নেওয়া হবে না কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরওয়ানা। সোমবার, এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি কারনানের আইনজীবীকে কড়া ভাষায় সর্বোচ্চ আদালত জানায় যে তিনি যেন আদালতের সময় নষ্ট না করেন। উল্লেখ্য, আদালত অবমাননার দায়ে বিচারপতি কারনানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারই প্রেক্ষিতে […]

Don't waste time, SC lashes at Justice Karnan's lawyer
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 15, 2017 5:58 am
  • Updated:May 15, 2017 5:58 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফিরিয়ে নেওয়া হবে না কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরওয়ানা। সোমবার, এমনটাই জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি কারনানের আইনজীবীকে কড়া ভাষায় সর্বোচ্চ আদালত জানায় যে তিনি যেন আদালতের সময় নষ্ট না করেন। উল্লেখ্য, আদালত অবমাননার দায়ে বিচারপতি কারনানকে ছয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা দেয় সুপ্রিম কোর্ট। তারই প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট একটি পিটিশন ফাইল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তুলে নেওয়ার আবেদন জানান।

সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে চলা টানাপোড়েনে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন কারনান। কয়েকদিন আগেই শীর্ষ আদালতের আদেশে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে চেন্নাই রওনা হয় বিধাননগর কমিশনারেটের একটি দল। যদিও কারনানকে খুঁজে পায়নি পুলিশ দল। কিন্তু কারনানের আইনজীবী জানিয়েছেন তিনি চেন্নাইতেই রয়েছেন।

Advertisement

[পাক অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে মারল বিএসএফ]

Advertisement

প্রসঙ্গত, নিজের বাড়িতে বিশেষ কোর্ট বসিয়ে প্রধান বিচারপতি-সহ সাত বিচারপতির বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করেছিলেন কারনান। প্রধান বিচারপতি খেহেরকে পাঁচ বছরের জেল এবং এক লক্ষ টাকা জরিমানার সাজা শুনিয়েছিলেন তিনি। যদিও কারনানের এই রায়ের কোনও গুরুত্বই ছিল না। সুপ্রিম কোর্ট আগেই জানিয়েছিল, কারনানের কোনও নির্দেশই কার্যকর হবে না। এই মর্মে একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছিল। এছাড়া যাবতীয় বিচার প্রক্রিয়া থেকেও তাঁকে দূরে সরিয়ে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি গত ১ মে-র শুনানিতে শীর্ষ আদালত কারনানের মানসিক অবস্থা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিল। তাঁর মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষারও নির্দেশ দিয়েছিল। যদিও সেই নির্দেশ মানেননি কারনান।

৪ মে কারনানের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েছিলেন পাভলভ হাসপাতালের চার চিকিৎসক। কিন্তু তাঁদেরকে ফিরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি৷ সঙ্গে ছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (সদর) সুধাকরণ-সহ ২০ জন পুলিশ৷ ওই চিকিৎসকদের বিচারপতি কারনান স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, তিনি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাবেন না। আর কারও মানসিক চিকিৎসা করতে গেলে আগে অভিভাবকদের সম্মতি লাগে৷ এভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো যায় না৷ আর বাড়িতেও কেউ নেই। তাই পরীক্ষাও করা যাবে না। এরপর সোমবার নিজের বাড়িতে কোর্ট বসিয়েই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে জেলের সাজা শোনান।

[‘মুখোমুখি যুদ্ধে জিততে পারবে না জেনেই চোরাগোপ্তা হামলা চালায় পাকিস্তান’]

সি এস কারনান এবং সুপ্রিম কোর্টের মধ্যে এই বিবাদ বহুদিন ধরেই চলছে। কারনানের একটি একটি নির্দেশ বারংবার দেশের বিচারব্যবস্থাকে বিড়ম্বনার সম্মুখীন করে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জে এস খেহেরের নেতৃত্বে গঠিত সাত সদ্যস্যের এই বেঞ্চই বিচারপতি কারনানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার দায়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন৷ দেশের প্রায় ২০ জন বিচারপতির বিরুদ্ধে দুর্নীতিতে লিপ্ত থাকার অভিযোগ এনেছিলেন কারনান৷ এমনকী বিচারব্যবস্থা ও সরকারের কাজের সমালোচনা করে মাদ্রাজ হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে আপত্তিকর ও আক্রমণাত্মক ভাষায় চিঠি লিখেছিলেন বিচারপতি কারনান৷ সেই চিঠি তিনি প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে পাঠিয়েছিলেন৷ এরপরই সর্বসম্মতিতে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা শুরু করেছিল শীর্ষ আদালত৷ এই মামলার শুনানিতে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টের তরফে বিচারপতি কারনানকে আদালতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছিল৷ কিন্তু তিনি হননি। আর তারপরই কারনানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়েছিল। উল্টোদিকে কারনানের বক্তব্য অনুযায়ী, তিনি দলিত বলে তাঁর সঙ্গে এরকম ব্যবহার করা হচ্ছে। নানাভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ