Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে জঙ্গি আনাগোনায় রাশ টানবে ‘নজরদারি ড্রোন’

সীমান্তে ‘পয়েন্ট টু পয়েন্ট’ নজরদারি।

Drones to keep eye on Terrorists at India-Bangladesh border
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 10, 2018 7:57 am
  • Updated:September 13, 2019 12:15 pm

অর্ণব আইচ: জঙ্গিদের আনাগোনায় রাশ টানতে সীমান্তে ‘পয়েন্ট টু পয়েন্ট’ নজরদারি শুরু করল বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি-র সঙ্গে হাত মিলিয়ে সীমান্তে ড্রোন উড়িয়ে জঙ্গি ও পাচারকারীদের সন্ধান চালানো শুরু করছে বিএসএফ

[বাংলাদেশে বৃদ্ধ সন্ন্যাসীকে কুপিয়ে খুন, আততায়ী অধরা]

Advertisement

শুক্রবার উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্ত এলাকার কাছেই ৮.৩ কিলোমিটার জুড়ে অপরাধ মুক্ত অঞ্চল বা ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’-এর উদ্বোধন করেন বিএসএফ-এর ডিজি কে কে শর্মা ও বিজিবি-র ডিজি আবু হোসেন। দুই দেশের বাহিনীর প্রধান এদিন কোলিয়ানি আউটপোস্ট এলাকায় নাওভাঙা খালের পাশে দাঁড়িয়ে দেশের প্রথম ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’ হিসাবে ঘোষণা করলেন ওই অঞ্চলটিকে। নাওভাঙার দু’দিকেই সবুজ ধানের খেত। ভারতের দিকে গুনারমাঠ থেকে কোলিয়ানি। বাংলাদেশের দিকে পুটখালি থেকে দৌলতপুর। গত বছরও ভরা বর্ষায় যখন খাল আর খেত জলে ডুবে এক হয়ে গিয়েছে, তখন এই অঞ্চল দিয়েই বাংলাদেশে পাচার হয়েছে গরু। বাংলাদেশের দিক থেকে পেট্রাপোলে পাচারকারীদের হাতে এসেছে সোনার বিস্কুট। পরে তা হাতবদল হয়ে পৌঁছেছে মধ্য কলকাতার বড়বাজারে। অনুপ্রবেশ করেছে বহু মানুষও।

Advertisement

গত অক্টোবর মাসে দিল্লিতে বিএসএফ ও বিজিবি-র কর্তাদের মধ্যে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই পেট্রাপোলের এই অঞ্চলটি বেছে নেন দু’দেশের বাহিনীর প্রধান। ডিজি (বিএসএফ) কে কে শর্মা জানান, মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে এই এলাকাটি ‘অপরাধ মুক্ত’ বানানো সম্ভব হয়েছে। বিএসএফ ও বিজিবি-র যৌথ চেষ্টায় ও দু’দেশের গ্রামের মানুষের সহযোগিতায় এই কাজ সম্ভব হয়েছে। খালে টহল দিচ্ছে স্পিডবোট। দিনরাত সীমান্ত ধরে টহল দিচ্ছে দু’দেশের বাহিনী।

[সোমবার SSC-এর চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ, ফল ওয়েবসাইটে]

ডিজি (বিজিবি) আবু হোসেন জানান, দুই দেশের শত্রুরা একই। এই প্রকল্পটি সারা বিশ্বকে পথ দেখাবে। এভাবে মাদক-সহ বিভিন্ন জিনিস পাচার বন্ধ করতে হবে। জানা গিয়েছে, সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ থেকে এসে এই রাজ্যে ধরা পড়েছে বেশ কিছু এবিটি ও নিও জেএমবি সংগঠনের জঙ্গি। এই রাজ্য থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে গা ঢাকা দিয়েও পুলিশের হাতে একাধিক জঙ্গি ধরা পড়েছে। সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিদের আনাগোনা বন্ধ করার বিষয়ে ডিজি (বিজিবি) জানান, ‘ক্রাইম ফ্রি জোন’-সহ পুরো সীমান্তজুড়েই ‘পয়েন্ট টু পয়েন্ট’ নজরদারি রাখা হচ্ছে। বৈদ্যুতিন নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে প্রত্যেকটি জায়গায়। দু’দেশের বাহিনীকে একসঙ্গে সতর্ক করা হয়েছে। ড্রোনের  মাধ্যমে আকাশপথে রাখা হচ্ছে নজরদারি। বসানো হচ্ছে রাডারের মতো গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ