সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাবা। প্রত্যেক মেয়ের কাছে এই শব্দের গুরুত্ব আলাদা। এমন একটা নিরাপদ গণ্ডি যেখানে হামেশা নিশ্চিন্তে আশ্রয় মিলবে যে কোনও পরিস্থিতিতে। মেয়ের চোখে বাবার স্থান অন্তত এমনটাই। কিন্তু পরিস্থিতি সবসময় একরকম হয় না। আর মানুষের প্রবৃত্তিও সমান থাকে না। এমনই এক ঘটনার সাক্ষী থাকল হিমাচল প্রদেশের হামিরপুর জেলার রাঠ এলাকা। যেখানে মদের টাকা জোগাড় করতে নিজের মেয়েকে বেচে দেওয়ারই উপক্রম করেছিল এক ব্যক্তি।
[ভ্যাকিউম ক্লিনারের সঙ্গে স্বামী যা করলেন, লজ্জায় মাথা কাটা গেল স্ত্রীর]
মদ্যপ বাবার অনেক অত্যাচার এতদিন মুখ বুজে সহ্য করে গিয়েছে অভিযোগকারী কিশোরী। কিন্তু নিজের সম্মান রক্ষার তাগিদে পরে আপস করতে নারাজ ছিল সে। তাই পুলিশের কাছে গিয়ে নিজেই বাবার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে ওই কিশোরী। পুলিশকে কিশোরী জানায়, কাজ করে যা টাকা-পয়সা তার বাবা পেত সবই মদ কেনার জন্য উড়িয়ে দিত। আর প্রায় দিনই মদ খেয়ে এসে বাড়িতে চলত তার অত্যাচার। এমনকী, মেয়েটিকে মারধরও করা হত। অত্যাচারের এই মাত্রা ছাড়িয়ে যায় এক সপ্তাহ আগে। যখন বাড়িতে কিছু লোককে ডেকে আনে তার বাবা। কেন? তা বুঝতে দেরি হয়নি ওই পনেরো বছরের কিশোরীর। মদের টাকা জোগাড় করতে না পেরে নিজের মেয়েকেই নাকি বিক্রি করে দিতে চেয়েছিল ওই ব্যক্তি।
[তান্ত্রিকের কথায় ঈশ্বরকে তুষ্ট করতে ৭ মাসের শিশু বলি দিল যুবক]
কোনওমতে বাবার ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে পাওয়াই এলাকার পুলিশ স্টেশনে পৌঁছয় ওই কিশোরী। সমস্ত কথা পুলিশকে জানায় সে। কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে যায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করতে। কিন্তু পুলিশের আসার খবর পেয়েই পলাতক অভিযুক্ত বাবা।
[বিলাসবহুল জীবনযাত্রাই কাল, তিন মাসের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড ঋতব্রত]