Advertisement
Advertisement

Breaking News

পরিযায়ীদের পাশে আশির বৃদ্ধ

বিনা পয়সায় পরিযায়ীদের মালপত্র বইছেন ৮০’র বৃদ্ধ, কুর্নিশ নেটিজেনদের

পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখে খাবারও তুলে দিয়েছেন তিনি।

Eighty years old coolie at Lucknow station helps migrant workers for free
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:June 2, 2020 6:03 pm
  • Updated:June 2, 2020 8:18 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বয়স আশির কোঠায়, কিন্তু তাতে কী! দিব্যি বার্ধক্যকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আজও অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন লখনউয়ের চারবাগ স্টেশনের ‘চাচা’। তবে শুধু যে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন, চারবাগ স্টেশনের সবথেকে বয়স্ক এই কুলির ক্ষেত্রে সেটুকু বলাই কিন্তু যথেষ্ট নয়! বরং, বলা ভাল, বিনা পয়সায় খেটে চলেছেন। স্টেশনে আসা একের পর এক পরিযায়ী শ্রমিকদের মালপত্তর, ব্যাগ বয়ে নিয়ে চলেছেন একাই। কারও কোনওরকম সাহায্য ছাড়াই। এই কঠিন সময়ে যেভাবে তিনি দুস্থ মানুষগুলোর পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করে চলেছেন, এমন মানবিক উদ্যোগই তাঁকে এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছে দিয়েছে।

চারবাগ স্টেশনের এই ‘চাচা’র নাম মুজিবুল্লাহ। একডাকে এখন তাঁকে সবাই চেনে। ৮০ বছর বয়সেও পেটের দায়ে স্টেশনে কুলির কাজ করতে হয় তাঁকে। তবে নিজের পরিস্থিতির থেকেও তাঁর কাছে এখন বড় হয়ে উঠেছে ওই দুস্থ মানুষগুলোর বাড়ি ফেরার সমস্যা। তাই তাঁদের সহায়তা করতে নিজের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন মুজিবুল্লাহ। স্টেশনের প্রত্যক্ষদর্শীদের কথায়, “বুড়ো হাড়কে ভেলকি কাকে বলে, মুজিবুল্লাহকে দেখেই বোঝা যায়!”

Advertisement

সেটা কেন? আসলে এই বয়সেও একাই ৫০ কেজির মালপত্তর তুলতে পারেন চারবাগ স্টেশনের এই অশীতিপর ব্যক্তি। তার জন্য অবশ্য এতদিন যথাযথ টাকা হাঁকালেও এই কঠিন সময় তাঁর চিন্তাভাবনায় বিস্তর প্রভাব ফেলেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের মাল গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার বিনিময়ে একটি টাকাও নেন না মুজিবুল্লাহ। তাঁর কথায়, “লকডাউনে যেরকম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন পেটের দায়ে ভিন রাজ্য থেকে কাজ করতে আসা মানুষগুলো, সেকথা ভেবেই তাঁদের পাশে থাকা। তাঁদের দিকে যথাসম্ভব সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া।” এই পরিষেবা মুজিবুল্লার কাছে, ‘খিদমৎ’। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা প্রসঙ্গে নিজেই জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দিল্লি সরকারের সুপারিশ, মুক্তি পেল জেসিকা লালের হত্যাকারী মনু শর্মা]

শুধু পরিযায়ী শ্রমিকদের মালপত্তর বয়েই ক্ষান্ত থাকেননি তিনি। তাঁদের কারও হাতে তুলে দিয়েছেন জলের বোতল আবার কোনও অভুক্তের মুখে তুলে দিয়েছেন খাবারও। মুজিবুল্লা জানিয়েছেন, “পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবারও তিনি আয় করতে পারবেন। কিন্তু এখন মানুষের সেবা করাই তাঁর মূল ধর্ম-কর্ম।” তাই তো স্টেশনফিরতি মানুষগুলো মুজিবুল্লার মতো মানুষদের ছবি তুলে তাঁদের কাহিনি গোটা দুনিয়ার কাছে ছড়িয়ে দিতে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্বারস্থ হয়েছেন।

[আরও পড়ুন: প্রায় ৫০% বাড়ল ‘এভিয়েশন ফুয়েলে’র দাম, জ্বালানি জ্বালায় জর্জরিত বিমান সংস্থাগুলি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ