Advertisement
Advertisement

শীতপোশাকে বেজায় আনন্দে ঘুরে বেড়াচ্ছে হাতির দল

একটু উষ্ণতার জন্য।

elephant wear rocking jambo
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 20, 2017 12:32 pm
  • Updated:January 20, 2017 12:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক মুহূর্ত জিরোনোর ফুরসত পেত না লক্ষ্মী, সুজিরা। কখনও ভিক্ষা করতে পাঠাত মালিক। আবার কখনও কনকনে শীতের রাতে পাঠিয়ে দিত সার্কাসের তাবুতে। শরীর সায় না দিলেও ছাড় নেই। কথা না শুনলে মারধর করবে যে! কতবার তো এমনটা হয়েছেও। তাও মানুষ হলে একটা  কথা ছিল। ওরা তো হাতি। তাই বোধহয় অত্যাচার চলত দ্বিগুণ। কী ছিরি হয়েছিল চেহারার। সেই লক্ষ্মী, সুজিরাই এখন কী ফিটফাট। হাবভাবই বদলে গেছে। কী কায়দা বেড়েছে। রংচঙে জাম্বো জ্যাকেট চড়িয়ে বিরাট কেত নিয়ে কেউ কেউ ঘুরে বেড়াচ্ছে দিনভর। খোলা মাঠ যেন তাদের ফ্যাশন প্যারেড।

hati_web

Advertisement

লক্ষ্মী, সুজির মতো এরকম ২০টি হাতিকে সম্প্রতি মুম্বইয়ের রাস্তা থেকে উদ্ধার করেছে হাতির দেখভাল করে মথুরার এমন একটি সংস্থা। তারা জানিয়েছে, প্রতিটি হাতিই শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতার শিকার। কেউ চোখে দেখতে পায় না, কারও বা চলার ক্ষমতা অনেকটা কমে গিয়েছে। সবসময় নজরে নজরে রাখতে হচ্ছে। সময় ধরে খাওয়ানো, ওষুধ দেওয়া, আদর-যত্ন খুব দরকার ওদের এখন। জানুয়ারির কনকনে ঠাণ্ডায় তাদের যেন কোনও সমস্যা না হয় তাই বিশেষ ধরনের জ্যাকেট তৈরি করেছে এই এলিফ্যান্ট কনজারভেশন অ্যান্ড কেয়ার সেন্টার। মথুরায় সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা কার্তিক সত্যনারায়ণ বলেন, “আমরা দিনরাত এক করে ওদের সুস্থ করার চেষ্টা করছি। সবরকম চেষ্টাই করা হচ্ছে। এই শীতে ওদের জন্য জাম্পার বানানো হয়েছে।” শীতের আদর গায়ে মেখে উল আর কাটা হাতে বসে পড়েছেন স্থানীয় একদল মহিলা। দিনরাত এক করে চলছে জাম্বোদের জন্য জাম্পার তৈরির কাজ। আশপাশে তখন ঘুরঘুর করছে গজ-কুমাররা। একটু উষ্ণতার জন্য।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ