সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গুজব। একটি গুজবই কেড়ে নিল প্রায় ২২টা তরতাজা প্রাণ। এখনও অনেকে কেইএম হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন আরও অনেকে। কেন এই দুর্ঘটনা? প্রশ্নের উত্তর এখনও স্পষ্ট হয়নি। কেউ বলছেন শর্ট সার্কিটের গুজব, কেউ ব্রিজ ধসে যাওয়ার জল্পনা, কেউ আবার খাড়া করছেন দু’দিক থেকে ট্রেন এসে পড়ায় হুড়োহুড়ির তত্ত্ব। কিন্তু মর্মান্তিক এই ঘটনা কি এড়ানো যেত না? যেত। রাজ্যসভার সাংসদ শচীন তেণ্ডুলকরের কথা মন্ত্রী-আমলাদের কানে পৌঁছত।
[‘তুমি এগিয়ে যাও’, মেয়ের শেষ কথা এখনও কানে বাজে বাবার]
শোনা গিয়েছে, গত বছরই আবেদনটি করেছিলেন শচীন। রেলমন্ত্রককে জানিয়েছিলেন, রাজ্যের যে সমস্ত স্টেশনে জনসমাগম বেশি হয় সেগুলি চিহ্নিত করতে। আর যদি সম্ভব হয় তাহলে সিঙ্গল ব্রিজের বদলে তাতে একাধিক ওভারব্রিজ তৈরি করতে। যাতে ব্যস্ত অফিস টাইমে ভিড় এড়ানো যেতে পারে। এড়ানো যেতে পারে কোনও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা। সে বছরই আগস্ট মাসে রেলের তরফ থেকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়। জানানো হয় ভাওয়ান্ডর, এলফিনস্টোন, কান্দিভলি, খার ও ভিরার-এর মতো ব্যস্ত রেল স্টেশনগুলিতে একাধিক ব্রিজ নির্মাণের প্রস্তাব পাশ করা হয়ে গিয়েছে।
[জঙ্গি বা পাকিস্তান নয়, ভারতীয়দের মারতে রেলই যথেষ্ট: রাজ ঠাকরে]
এর জন্য সুরেশ প্রভুর রেলমন্ত্রকের তরফ থেকে ১১.৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দও করা হয়েছিল। কিন্তু সে কাজ দুর্ঘটনার আগের দিন পর্যন্ত শুরু হয়নি। প্রস্তাব প্রস্তাবের পর্যায়েই রয়ে গিয়েছে। ফল ভুগতে হয়েছে মুম্বইয়ের সাধারণ মানুষকে। খাতায়-কলমে অন্তত ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের তরফে ক্ষতিপূরণও ঘোষণা করা হয়েছে। দোষারোপ-পালটা দোষারোপের পালা চলছে। কিন্তু আদৌও কি এ ক্ষতি পূরণ করা সম্ভব? বোধহয় না!
[‘সাধারণ সুবিধাটুকু দিতে পারে না সরকার, আবার বুলেট ট্রেনের স্বপ্ন দেখে’]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.