Advertisement
Advertisement

Breaking News

Rape

রদ ফাঁসির আদেশ, শক্তি মিল গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষীদের আমৃত্যু কারাদণ্ডের সাজা আদালতের

'জনতার ভাবাবেগ অনুযায়ী বিচার ব্যবস্থা চলতে পারে না', মন্তব্য বম্বে হাইকোর্টের।

Entire life imprisonment to Shakti Mills gang-rape convicts by Bombay HC | Sangbad Pratidin

ছবি: প্রতীকী

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 25, 2021 12:33 pm
  • Updated:November 25, 2021 12:55 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাণিজ্যনগরীর বুকে শক্তি মিল (Shakti Mill) চত্বরে ২০১৩ সালের ২২ আগস্টে গণধর্ষণের (Gang-Rape) শিকার হয়েছিলেন এক তরুণী চিত্র সাংবাদিক৷ সেই ঘটনায় ৩ অভিযুক্তকে আগেই দোষী সাব্যস্ত করেছিল আদালত ৷ দোষীদের মৃত্যুদণ্ড (Death Sentence) দেওয়া হয়েছিল। বৃহস্পতিবার বম্বে হাই কোর্ট (Bombay High Court) মৃত্যুদণ্ডের সাজা রদ করে দোষীদের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ডের (Imprisonment for entire life) সাজা ঘোষণা করল। বম্বে হাই কোর্টের মন্তব্য, জনতার ভাবাবেগ অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা চলতে পারে না।

এদিন বম্বে হাই কোর্টের বিচারপতিরা বলেন, “শক্তি মিল গণধর্ষণ কাণ্ড নাড়িয়ে দিয়েছিল সভ্য সমাজকে। একজন নির্যাতিতা শারীরিক ও মানসিক দুইভাবেই ক্ষতবিক্ষত হন। যা মানবাধিকারের উপর বড় আঘাত। তবে মৃত্যুদণ্ড শেষ ‘অস্ত্র’, তা ব্যতিক্রমী ক্ষেত্রেই দেওয়া হয়। জনতার ভাবাবেগের উপর নির্ভর করে বিচার ব্যবস্থা চলতে পারে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: দেশে ক্রমশ কমছে করোনার দাপট, ৫৩৯ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন অ্যাকটিভ কেস]

তবে অপরাধীরা যাতে আর কখনওই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে না পারে, তার ব্যবস্থা করেছেন মুম্বই হাইকোর্টের বিচারপতিদের বেঞ্চ। দোষীদের আমৃত্যু কারাগারের চারদেওয়ালের মধ্যেই থাকতে হবে। তারা  প্যারোলেও ছাড়া পাবেন না বলে জানানো হয়েছে। বম্বে হাই কোর্টের মন্তব্য, “দোষীরা আর কখনওই সমাজের মূলস্রোতে ফিরতে পারবে না”।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে বাংলায় আসছেন সুব্রহ্মণ্যম স্বামী, ‘বিক্ষুব্ধ’ বিজেপি সাংসদের বঙ্গ সফর ঘিরে জল্পনা তুঙ্গে]

২০১৩ সালের ২২ আগস্ট কাজের সূত্রে এক সহকর্মীর সঙ্গে মুম্বইয়ের পরিত্যক্ত শক্তি মিল-চত্বরে গিয়েছিলেন বাইশ বছরের তরুণী চিত্র সাংবাদিক৷ সেখানে তাঁর সঙ্গীকে মারধর করে বেঁধে রাখা হয় ৷ গণধর্ষণের শিকার হন তরুণী স্বয়ং৷ চিত্র সাংবাদিকের অভিযোগ পেয়ে বিজয়, কাসেম, সেলিমের পাশপাশি সিরাজ রহমান এবং আরও এক নাবালকের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর এক অষ্টাদশী টেলিফোন অপারেটর অভিযোগ জানানোর সাহস পান। তিনি জানান, চিত্র সাংবাদিকের ঘটনার মাসখানেক আগে তিনিও শক্তি মিল চত্বরেই গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন। দু’টি মামলারই তদন্ত চলে একই সঙ্গে। টেলিফোন অপারেটরের গণধর্ষণেও বিজয়, কাসেম, সেলিম যুক্ত বলে জানা যায়। পরে পাঁচ অভিযুক্ত দোষী সাব্যস্ত হয়। তাদের মৃত্যুদণ্ডও হয়। তবে এদিন সেই সাজা থেকে সরে আসল বম্বে হাই কোর্ট। দোষীদের আমৃত্যু সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হল। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ