Advertisement
Advertisement
Kashmir

কাশ্মীর সফরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা, খতিয়ে দেখবেন পরিস্থিতি

ভূস্বর্গে কেন এসেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিরা?

EU delegation arrives in Kashmir to assess situation
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 17, 2021 3:04 pm
  • Updated:February 17, 2021 3:04 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্যের মর্যাদা কেড়ে নিয়ে দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভাগ করে দেওয়া হয় ‘ভূস্বর্গ’কে। আর এনিয়ে দেশে ও আন্তর্জাতিক স্তরে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। উপত্যকায় সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার শ্রীনগর পৌঁছেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) প্রতিনিধিরা।

[আরও পড়ুন: এবার পুলিশের জালে লালকেল্লা হিংসার অন্যতম মুখ ‘তরোয়ালধারী’ মনিন্দর সিং]

দু’দিনের সফরে ২০ সদস্যের আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি দলটি আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার জম্মু যাবেন। শ্রীনগর পৌঁছানোর পরই প্রতিনিধি দলটি বদগাওঁয়ের মগাম এলাকা পরিদর্শনে যায়। সেখানে জেলা উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নাজির খান ও স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইইউ প্রতিনিধিরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প ও তাদের বর্তমান অবস্থা খতিয়ে দেখেন প্রতিনিধিরা। এছাড়া, ডাল লেকের পাশে বিখ্যাত হজরত বল মসজিদেও যাওয়ার কথা রয়েছে তাঁদের। এদিকে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের সফর ঘিরে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে কাশ্মীরকে। এই সফরের প্রতিবাদে শ্রীনগরে বনধ ডাকা হয়েছে। লালচৌক ও আশপাশের এলাকার দোকান বাজার সমস্তটাই বন্ধ রয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে নয়াদিল্লির আমন্ত্রণে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২৭ জন সদস্য জম্মু ও কাশ্মীর সফরে এসেছিলেন।

Advertisement

সম্প্রতি, জম্মু ও কাশ্মীরে জেলা উন্নয়ন পর্ষদের নির্বাচন হয়েছে। এই নির্বাচনের বিষয়টি সামনে রেখেই গণতন্ত্রের উপর কাশ্মীরিদের ভরসার বিষয়টি প্রতিনিধি দলের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, নয়াদিল্লি এটাও বোঝানোর চেষ্টা করছে যে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ মেনে নেওয়া হবে না। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারত সরকার যা দাবি করছে, বাস্তবে আদৌ তার সঙ্গে কোনও মিল আছে কি না, তা খতিয়ে দেখার জন্যই ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি দলের এই সফর। সব মিলিয়ে ৩৭০ ধারা রদ হওয়ার পর কাশ্মীরে পরিস্থিতি যে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে, আন্তর্জাতিক মঞ্চে সেই চিত্র ফুটিয়ে তোলাই লক্ষ্য মোদি সরকারের।

Advertisement

[আরও পড়ুন: কৃষকদের সমর্থন করে ভুল করেছেন দিশা রবি! কেন এমন বললেন কানহাইয়া?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ