Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uttar Pradesh

উত্তরপ্রদেশে নিম্নবর্ণের একই পরিবারের ৪ জনকে নির্মম হত্যা! অভিযোগ গণধর্ষণেরও

শুক্রবারই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী।

Family of 4 murdered in Uttar Pradesh। Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:November 26, 2021 3:16 pm
  • Updated:November 26, 2021 3:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই পরিবারের চারজনকে নির্মম ভাবে খুন করার ঘটনায় চাঞ্চল্য উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রয়াগরাজে। নিহতদের মধ্যে একজন ১০ বছরের বালক ও এক ১৬ বছরের কিশোরীও রয়েছে। সেই সঙ্গে আরও অভিযোগ, খুন করার আগে সম্ভবত গণধর্ষণ (Gangrape) করা হয়েছে কিশোরীকে। ভয়ংকর এই ঘটনায় অভিযোগের তির প্রতিবেশী এক পরিবারের দিকে। নিহতদের পরিবারের অভিযোগ, উচ্চবর্ণের ওই পরিবার এর আগেও নিম্নবর্ণের এই পরিবারের সদস্যদের উপরে নির্যাতন চালিয়েছে। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য বহু দূর ছড়িয়ে গিয়েছে। কংগ্রেস নেত্রী ও উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের প্রধান প্রিয়াঙ্কা গান্ধী দুপুরে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

ইতিমধ্যেই খুন ও গণধর্ষণের মামলা রুজু করে ১১ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। কিশোরীর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে ঘরে। বাকিদের মৃতদেহ বাড়ির বাইরে উঠোনে পড়ে ছিল বলে জানা গিয়েছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ড ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশ জানিয়েছে, ধারাল অস্ত্রের সাহায্যে চারজনকেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। প্রত্যেকের শরীরেই গভীর ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘পরিবারতান্ত্রিক দল উদ্বেগের বিষয়’, সংবিধান দিবসে ইঙ্গিতে কংগ্রেসকে খোঁচা মোদির!]

নিহতদের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, ২০১৯ সাল থেকেই দুই পরিবারের মধ্যে সমস্যা ছিল। বারবার উচ্চবর্ণের পরিবারটি নির্যাতন চালাত নিম্নবর্ণের পরিবারের উপরে। গত সেপ্টেম্বরে বিষয়টি চরমে পৌঁছয়। ২১ সেপ্টেম্বর তাঁদের মারধর করা হয়। প্রায় সপ্তাহখানেক পরে এফআইআর দায়ের হয়, তাও নির্যাতিতদের পরিবারের বিরুদ্ধেই।

Advertisement

পুলিশের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ নিহতদের পরিবারের। এবারও খুনের ঘটনা চেপে যাওয়ার আরজি জানানো হয়েছে বলেও দাবি। উঠে এসেছে সুশীল কুমার নামে এক পুলিশ কনস্টেবলের বিরুদ্ধেও। অভিযোগ, তিনি নাকি এসে নিহতদের পরিবার পরিজনকে চাপ দিচ্ছেন বিষয়টায় সমঝোতা করার জন্য।

উল্লেখ্য, যোগীরাজ্যে এর আগেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। হাতরস ধর্ষণ মামলায় খোদ জেলাশাসকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তোলা হয়েছিল নির্যাতিতার পরিবারকে মামলা তুলতে চাপ দেওয়ার জন্য। পরে তাঁকে বদলিও করে দেওয়া হয়। এই ঘটনাকে ঘিরেও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সরব নিহতদের আত্মীয়রা।

[আরও পড়ুন: পাক সীমান্তের কাছে গর্জে উঠল ভারতীয় ট্যাঙ্ক বাহিনী, উপস্থিত সেনাপ্রধান নারাভানে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ