Advertisement
Advertisement

Breaking News

চাকরি হারানোর আশঙ্কায় চারতলা থেকে মরণঝাঁপ ইঞ্জিনিয়ারের

ঘটনাটি ঘটেছে পুণেতে।

Fearing layoff, techie jumps to death in Pune
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:July 14, 2017 12:11 pm
  • Updated:July 14, 2017 12:49 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গ্ল্যামার আর মোটা বেতন। এই দুইয়ের আকর্ষণে তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় চাকরির করতে চাইছেন অনেকেই। আর সেই চাকরির সুবাদে ভিন রাজ্য তো বটেই, ভিনদেশেও পাড়ি জমাচ্ছেন। কিন্তু, সে তো মুদ্রার একপিঠ। মুদ্রার অপর পিঠে রয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চিত একটা জীবন। যেখানে পদে পদে তাড়া করে বেড়ায় চাকরি হারানোর আশঙ্কা। আর সেই মানসিক চাপ সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী হলেন এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনাটি ঘটেছে পুণেতে।

[যথেষ্ট শিক্ষা হয়েছে! আর কোনওদিন ‘বাংলাদেশের পরিচারিকা’ নিয়োগ করবে না এই শহর]

Advertisement

জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগেই পুণের একটি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থায় কাজে যোগ দিয়েছিলেন গোপালকৃষ্ণ দুর্গাপ্রসাদ গৌড়া নামে ওই যুবক। স্থানীয় একটি হোটেলেই থাকছিলেন তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টা নাগাদ হোটেলের চারতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেন গোপালকৃষ্ণ। ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। দেহে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চারতলার বারান্দা থেকে ঝাঁপ দেওয়ার আগে সম্ভবত নিজেই ছুরি দিয়ে শরীর ক্ষতবিক্ষত করেছেন গোপালকৃষ্ণ। ঘটনাস্থল থেকেই একটি সুইসাইট নোটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। সুইসাইট নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য চাকরি জীবনের অনিশ্চয়তাকেই দায়ী করে গিয়েছেন গোপালকৃষ্ণ। হোটেলের চারতলার বারান্দা থেকে গোপালকৃষ্ণের ঝাঁপ দেওয়ার ছবি ধরা পড়েছে হোটেলের সিসিটিভি ক্যামেরায়। পুণের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার ডি এন জয়শঙ্কর বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় ফুটেজ ও সুইসাইট নোটে দেখে এটি আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি জানান,  স্থানীয় একটি তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি নিয়ে গত রবিবার পুনেতে এসেছিলেন গোপালকৃষ্ণ। ওই তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার তরফেই স্থানীয় একটি হোটেলে তাঁর থাকার ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisement

[জানেন, দেশের কত শতাংশ মানুষের আস্থা রয়েছে সরকারের উপর?]

জানা গিয়েছে, গোপালকৃষ্ণের বাড়ি অন্ধ্রপ্রদেশের কৃষ্ণা জেলায়। তাঁর পরিবার আর্থিকভাবে রীতিমতো স্বচ্ছল। গোপালকৃষ্ণের মৃত্যুর খবর পেয়ে রাতেই পুণে চলে আসেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। মৃতের ভগ্নীপতি অবিনাশ জানিয়েছেন, গোপালকৃষ্ণ হতাশায় ভুগছিলেন না। তাঁর পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে চিন্তারও কোনও কারণ নেই।

[শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ক্যাম্পাসে নিষিদ্ধ স্মার্টফোন, বিতর্কে এই ঐতিহ্যবাহী কলেজ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ