Advertisement
Advertisement

Breaking News

হিন্দুদের ভাবাবেগে আঘাত, এফআইআর দায়ের রবিনার বিরুদ্ধে

কী বললেন অভিনেত্রী?

FIR against Raveena Tandon for shooting inside Lingaraj Temple
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:March 7, 2018 3:33 pm
  • Updated:September 13, 2019 7:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুটিং করতে গিয়ে বিপাকে পড়লেন বলিউড অভিনেত্রী রবিনা ট্যান্ডন। সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল শুটিংয়ের লোকেশন। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। যার জেরে মঙ্গলবার অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।

[শুধু কালীকার জন্য…আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখলেন বন্ধুরা]

ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? ভুবনেশ্বরের শ্রী লিঙ্গরাজ মন্দির কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, রবিবার ওই মন্দিরের ভিতর যেখানে ক্যামেরার ব্যবহার নিষিদ্ধ, সেখানেই নাকি একটি বিজ্ঞাপনের শুটিং করছিলেন রবিনা। সেই শুটিংয়ের একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, বহু প্রাচীন এই শিব মন্দিরের ভিতর দাঁড়িয়ে বিউটি টিপস দিচ্ছেন অভিনেত্রী। সেই সময় মন্দিরে উপস্থিত এক ব্যক্তিই নিজের মোবাইলে ভিডিওটি রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে নেটদুনিয়ায়। তারপরই গোটা বিষয়টি জানতে পারে মন্দির কর্তৃপক্ষ। আর তখনই অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তবে সমস্ত অভিযোগ খারিজ করেছেন অভিনেত্রী।

Advertisement

[ব্রেন ক্যানসারে ভুগছেন ইরফান! অভিনেতার অসুস্থতা নিয়ে বাড়ছে ধোঁয়াশা]

মন্দিরের ম্যানেজার-ইন-চার্জ রাজীব লোচন পরিদা এ খবর নিশ্চিত করে বলেন, “লিঙ্গরাজ থানায় রবিনা ট্যান্ডনের বিরুদ্ধে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। যেখানে ক্যামেরা নিষিদ্ধ, সেখানেই বিজ্ঞাপনের শুটিং করছিলেন তিনি। শুধুমাত্র মন্দিরের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরই ওই স্থানে মোবাইল নিয়ে যাওয়ার অনুমতি রয়েছে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে, শুটিংয়ের জন্য নিয়ম ও নিরাপত্তাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়েছেন নির্মাতারা। শুধু তাই নয়, মন্দিরের ভিতর শুটিং দর্শনার্থীদের ভাবাবেগেও আঘাত করেছে।” তবে এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন রবিনা। তাঁর বক্তব্য, “সেখানে কোনও বিজ্ঞাপনের শুটিংই হচ্ছিল না। আমি সেখানে গিয়েছিলাম এবং মিডিয়া উপস্থিত হয়েছিল। ফলে অনেকেই মোবাইলে সেলফি তুলছিলেন, ভিডিও করছিলেন। আর এ সব দেখেই হয়তো কর্তৃপক্ষের মনে হয়েছে সেখানে শুটিং চলছে। তবে ওই স্থানে যে মোবাইল নিষিদ্ধ, তা আমার জানা ছিল না।”

ভুবনেশ্বর ডিসিপি সত্যব্রত ভইও জানান, তাঁরা এমন অভিযোগ পেয়েছেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এএসআই-এর তরফেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ