Advertisement
Advertisement

রেস্তরাঁয় ঢুকে যুবককে বেধড়ক মারধর, অভিযোগে সাসপেন্ড কংগ্রেসের যুবনেতা

৬ বছরের জন্য হরিশ নালাপদকে সাসপেন্ড।

FIR against Youth Congress leader Mohammed Haris Nalapad for beating up man in Bengaluru restaurant
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 18, 2018 5:20 pm
  • Updated:February 18, 2018 5:20 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রেস্তরাঁয় এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল যুব কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে। এই অভিযোগে দল থেকে ছ’বছরের জন্য বরখাস্ত করা হল অভিযুক্ত যুবনেতাকে। ওই যুবনেতার নাম মহম্মদ হরিশ নালাপদ। তিনি বেঙ্গালুরুর জেলা যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তবে হরিশ একাই নয়, এই মারধরের ঘটনায় আরও ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বেঙ্গালুরুর ইউবি সিটির একটি রেস্তরাঁয়।

পুলিশ জানিয়েছে আক্রান্ত ব্যক্তির নাম বিদ্যুৎ। অত্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। রেস্তরাঁর মালিককে জেরা করে ঘটনার গতি প্রকৃতি বোঝার চেষ্টা করছে পুলিশ। ঘটনার সময় রেস্তরাঁয় কে কে উপস্থিত ছিল এবং কারা মারধরে মদত দিয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

[মালিকের স্ত্রীকে নিয়ে উধাও, অপরাধে অ্যাসিডে ঝলসানো হল যুবকের চোখ]

অভিযোগ, হাসপাতালে গিয়েও আক্রান্ত ব্যক্তিকে হুমকি দিয়েছেন হরিশ নালাপদ। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরই নড়েচড়ে বসে কর্ণাটকের কংগ্রেস নেতৃত্ব। ঘটনার সবিস্তার তথ্য জানানো হয় রাজ্যের প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি পি পরমেশ্বরাকে। তাঁরই সিদ্ধান্তে ছ’বছরের জন্য দল থেকে সাসপেন্ড হন হরিশ নালাপদ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, বেঙ্গালুরুর শান্তিনগরের বিধায়ক এন এ হরিশের ছোট ছেলে মহম্মদ হরিশ নালাপদ। বাবা বিধায়ক হওয়ার সুবিধার্থে সব ধরনের রাজনৈতিক সহায়তা পেতেন তিনি। ফ্যাশন সচেতন হিসেবেও বেশ নাম করেছেন। ২০১৭-র মে মাসে যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হন। একই সঙ্গে তিনি নিজেদের পারিবারিক ব্যবসায়ও দেখাশোনা করেন। নালাপদ গ্রুপ অফ কোম্পানির কার্যনির্বাহী পরিচালক হিসেবে তাঁরই নাম রয়েছে।

তবে হরিশ পরিবারের এই স্বেচ্ছাচারিতা নতুন নয়। এর আগেও একই ঘটনার দায়ে অভিযোগের কোপে পড়েছেন হরিশ নালাপদের দাদা উমর। ২০১৬ সালে শান্তিনগরের এক পাবে গিয়ে এমনই একটি ঘটনা ঘটিয়েছিলেন তিনি। পাবেরই এক ব্যক্তিকে মারধরের ঘটনায় উমরের দিকে অভিযোগের তির ওঠে। তবে সেই সময় পুলিশ আক্রান্তের দায়ের করা অভিযোগ নিতে অস্বীকার করেছিল। সেই সময় পাব মালিকের স্বীকারোক্তির জেরে বেঁচে যান উমর।

[পিএনবি কিছুই নয়, নোট বাতিল আরও বড় কেলেঙ্কারি! সরব মমতা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ