সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চুক্তি হয়েছিল অনেক আগেই। সেই মতো সুইস ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের তথ্য পাওয়া শুরু করল নয়াদিল্লি। ইতিমধ্যেই সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের তরফে প্রথম দফায় তথ্য ভারত সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এখন নিয়মিত সুইস ফেডারেল ব্যাংক ভারতকে আমানতকারীদের সম্পর্ক তথ্য দেবে। সুইস ব্যাংকের এই পদক্ষেপকে যুগান্তকারী বলে দাবি করছে কেন্দ্র। এর ফলে, কালো টাকার কারবারীদের চিহ্নিতকরণ এবং তাঁদের শাস্তির ব্যবস্থা করা যাবে বলে দাবি নয়াদিল্লির।
[আরও পড়ুন: এবার চারটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা বিলগ্নিকরণের পথে কেন্দ্র]
সুইজল্যান্ডের কর বিভাগের সঙ্গে নয়াদিল্লির চুক্তি হয়েছিল অনেক আগেই। সেই চুক্তি অনুযায়ী এবছরের শেষের দিকে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের যাবতীয় তথ্য তুলে দেওয়ার কথা ছিল সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকটির। পরবর্তী পর্যায়ের তথ্য মিলবে আগামী বছর সেপ্টেম্বর মাসে। এই চুক্তির শর্ত ছিল চূড়ান্ত গোপনীয়তা। সুইস ব্যাংকের দাবি, সরকারকে যে তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা সরকার জনসমক্ষে প্রচার করতে পারবে না। কী তথ্য দেওয়া হয়েছে, তা জানাতে নারাজ সুইস ফেডারেল ব্যাংকও। তবে সুত্রের খবর, ভারতকে যে তথ্য পাঠানো হয়েছে তাতে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের নাম, তাঁদের ঠিকানা, অর্থের পরিমাণ, কতগুলি অ্যাকাউন্ট, সব তথ্য রয়েছে। অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের লেনদেনের হিসাবের যাবতীয় খুঁটিনাটিও আসবে কেন্দ্রের হাতে। ভারতের ব্যবসায়ীদের অনেকে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য বেআইনিভাবে নিজেদের অর্থ সুইস ব্যাংকে জমা রাখেন। এই কালো টাকা দমন করতেই মূলত সুইস ব্যাংকের সঙ্গে এই চুক্তি করেছে নয়াদিল্লি।
[আরও পড়ুন: আর কোনও গাছ কাটা যাবে না, আরে বনাঞ্চল নিয়ে স্থগিতাদেশ সুপ্রিম কোর্টের]
সুইস ব্যাংকের যাবতীয় তথ্য হাতে আসায় কেন্দ্রের কাছে একপ্রকার কালো টাকার কারবারিদের তালিকা চলে এল। এর ফলে নয়াদিল্লি চাইলেই এখন ব্যবস্থা নিতে পারে। এবং কালো টাকার উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইকও করা যেতে পারে। যদিও, এই চুক্তির ফাঁক গলে অনেকে বেঁচে যেতে পারেন বলে অর্থনীতিবিদদের ধারণা। ২০১৮ সালে ভারত সরকারের সঙ্গে সুইস ফেডারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের এই চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী এতদিন পর্যন্ত সুইস ব্যাংকে যে সমস্ত অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাদের সম্পর্কে কোনও তথ্য ভারত সরকার পাবে না। এই চুক্তি হওয়ার পর যে সব অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে তাদের তথ্যও কেন্দ্র পাচ্ছে না। এদিকে, গত একবছরে প্রায় ১০০টি অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়েছে। এই অ্যাকাউন্টগুলিতেই মূলত কালো টাকার কারবার চলত বলে ধারণা অর্থনীতিবিদদের।