ছবি: প্রতীকী
প্রণব সরকার,আগরতলা: ত্রিপুরায় কিছুতেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণে। এবার রাজ্যের পাঁচজন বিধায়ক ও একজন প্রাক্তন মন্ত্রীর শরীরে মিলেছে এই মারণ রোগের জীবাণু। এছাড়া করোনা সংক্রমিত হয়েছেন জেলা শাসক থেকে পুলিস সুপার পর্যন্ত। মৃত্যু হয়েছে একজন প্রবীণ আইনজীবীর।
এখনও পর্যন্ত ত্রিপুরায় করোনা সংক্রমণের চিত্র ভয়াবহ। এই রোগের কবলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে ১১৯ জনের। সংক্রমিত হয়েছেন ১২ হাজারের উপর। আক্রান্ত বিধায়কদের মধ্যে রয়েছেন মুখ্যসচেতক পর্যন্ত। আক্রান্ত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পরিবারের তিন সদস্যও। মুখ্যমন্ত্রীকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কয়েক দফায় কোভিড হাসপাতালে ছুটে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। বুধবার ৪ ঘন্টার উপর কোভিড হাসপাতালে কাটিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। খোঁজ নিয়েছেন চিকিৎসার। করোনা সংক্রমিত রোগীদের খোঁজও নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখেন তিনি। শুধু তাই নয়, কর্তব্যে গাফিলতি হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বরদাস্ত করা হবে না।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে প্রায় ১০ জন চিকিৎসক, ১০ জনের উপর সংবাদ কর্মী, শতাধিক পুলিসকর্মীও সংক্রমিত হয়েছেন। আবারও কোভিড হাসপাতালে যাবার কথা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। কয়েকমাস আগে গাফিলতির অভিযোগে সরিয়ে দিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিবকে পর্যন্ত। আইনমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, বাম আমলের দীর্ঘ দুর্নীতির খেসারৎ দিতে হচ্ছে বর্তমান সরকারকে। এদিকে রাজ্যের চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ উঠেছে। কর্তব্য গাফিলতিতে ক্ষুব্ধ করোনা সংক্রমিতদের আত্মীয়স্বজনরা। এই ব্যাপারে তারা একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নালিশও জানিয়েছেন। এদিকে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে একজন চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছিল। যদিও পরবর্তী সময়ে তা প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.