Advertisement
Advertisement

Breaking News

জোম্যাটো

‘হালাল’ নিয়ে বিতর্কের জের, ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড় জ্যোমাটোর

প্লে স্টোরে কমছে রেটিং, বাড়ছে লোকসান।

Food delivery app Zomato suffers after halal-jhatka row
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:August 5, 2019 9:38 am
  • Updated:August 5, 2019 9:38 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘খাবারের কোনও ধর্ম হয় না। খাবারই ধর্ম’। এই মূল্যবোধে অনড় থেকেই ব্যবসা হারাচ্ছে জোম্যাটো। অনেক গ্রাহক খাবারের অর্ডার দেওয়া তো বন্ধ করছেনই সেই সঙ্গে গুগল প্লে স্টোরে রেটিংও দিতে চাইছেন না। এই ফুড অ্যাপে ‘হালাল’ মাংসের অপশন দেওয়ার পর থেকেই গ্রাহক সংখ্যা কমছে বলে খবর। শুধু তাই নয়, ডেলিভারি বয় মুসলিম। ভরা শ্রাবণে তাঁর হাতের খাবার খেলে জাত চলে যাবে! টুইট করে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করে অর্ডার বাতিলের কথা পোস্ট করেন এক গ্রাহক। যদিও এই আশঙ্কায় কেউ কেউ আবার অ্যাপটাই মোবাইল থেকে ডিলিট করে দিচ্ছেন।

[ আরও পড়ুন: অতিবর্ষণের সম্ভাবনায় স্তব্ধ বাণিজ্যনগরী, বন্ধ স্কুল-কলেজ ]

সব মিলিয়ে এই মুহূর্তে গুগল প্লে স্টোরে জোম্যাটোর রেটিং ১। বিতর্কের শুরু মধ্যপ্রদেশের জব্বলপুরে। সেখানকার বাসিন্দা অমিত শুক্লা জোম্যাটোর মাধ্যমে নিরামিষ খাবার অর্ডার দেন৷ তাঁর কাছে মেসেজ আসে ফৈয়াজ নামে এক যুবক খাবার পৌঁছে দেবে৷ মুহূর্তের মধ্যে ফৈয়াজ ফোন করেন অমিতকে৷ ঠিকানা জানতে চাওয়া হয়৷ ফৈয়াজের দাবি, ফোনের ওপার থেকে অমিত ধর্ম নিয়ে খোঁচা দিয়ে নানা কথা শোনান তাঁকে৷ এরপর অমিত জোম্যাটোকে জানান অ-হিন্দু কারও হাত থেকে খাবার নেবেন না তিনি৷ তবে তাতে মনমতো উত্তর দেয়নি ওই সংস্থা৷ আবারও অমিত জোম্যাটোকে জানান, তবে তিনি খাবারের অর্ডার বাতিল করবেন৷ খাবার সরবরাহকারী ওই সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, যাই করুন না কেন টাকা ফেরত পাবেন না৷ তাতে রাজি হয়ে যান অমিত৷ বাতিল করে দেন অর্ডার৷

Advertisement

সংকীর্ণ মনোভাবাপন্ন এক গ্রাহককে এর প্রতিবাদে কড়া জবাব দিয়েছিলেন খোদ জোম্যাটোর কর্ণধার দিপিন্দর গোয়েল। জবাবে বলেন, “ভারতের গ্রাহকদের বৈচিত্র নিয়ে আমরা গর্বিত। আমাদের মূল্যবোধে আঘাত করে এমন ব্যবসা হারাতে হলেও আমাদের কোন দুঃখ নেই।” খাদ্য সরবরাহকারী সংস্থার তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, “খাবারের কোনও ধর্ম হয় না, খাবারই ধর্ম৷” জোম্যাটোর এমন পদক্ষেপে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় নেটিজেনরা৷ অনেকেই বলেন, ব্যবসার কথা না ভেবে জোম্যাটো যা করেছে তা অবশ্যই প্রশংসাযোগ্য৷ আবার কেউ কেউ খাবার নিয়ে ধর্ম প্রসঙ্গে টেনে আনেন ‘হালাল-ঝটকা’ ইস্যু৷ ধর্ম নিয়ে কোনও মাথাব্যথা না সত্ত্বেও কীভাবে খাদ্যতালিকায় ‘হালাল’ শব্দ ব্যবহার করে জোম্যাটো, সেই প্রশ্ন তোলেন নেটিজেনদের একাংশ৷ এরপর জোম্যাটো কর্তৃপক্ষের দাবি, “আমরা নিজেরা খাবার তৈরি করি না৷ যে কোনও রেস্তরাঁয় বিক্রি হওয়া খাবার শুধুমাত্র ক্রেতার বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়াই কাজ৷ তাই রেস্তরাঁর খাদ্যতালিকায় যা আছে তাই দেখা যায় আমাদের অ্যাপে৷ ‘হালাল’ শব্দ ব্যবহার করে রেস্তরাঁ৷ আমরা না৷ রেস্তরাঁ ‘ঝটকা’ শব্দ ব্যবহার করলে আমরাও করব৷”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: বেনজির ‘অস্থিরতা’ কাশ্মীরে, মাঝরাতে গৃহবন্দি ওমর আবদুল্লা-মেহবুবা মুফতি ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ