Advertisement
Advertisement

Breaking News

কাশ্মীর

বেনজির ‘অস্থিরতা’ কাশ্মীরে, মাঝরাতে গৃহবন্দি ওমর আবদুল্লা-মেহবুবা মুফতি

জম্মু-শ্রীনগরে জারি ১৪৪ ধারা, বন্ধ মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবা।

Mehbooba Mufti, Omar Abdullah were placed under house arrest
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:August 5, 2019 8:57 am
  • Updated:August 5, 2019 8:57 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাশ্মীরের সামরিক অস্থিরতার মধ্যেই মাঝরাতে বেনজির সিদ্ধান্ত প্রশাসনের। গৃহবন্দি করা হল রাজ্যের তিন সবচেয়ে প্রভাবশালী নেতা ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাদ লোনকে। রাতেই শ্রীনগর ও জম্মুতে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা। রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় বন্ধ স্কুল-কলেজ। শ্রীনগরে কার্যত অনির্দিষ্টকালের জন্য জারি হয়েছে কারফিউ। বন্ধ মোবাইল-ইন্টারনেট পরিষেবাও।

[আরও পড়ুন: কাশ্মীর নিয়ে সরগরম দিল্লি, অজিত দোভাল ও ‘RAW’ প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে অমিত শাহ]

রবিবার রাতেই তীব্র উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠার মধ্যে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন বিজেপি ছাড়া উপত্যকার অন্য রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিরা। ন্যাশনাল কনফারেন্স সুপ্রিমো ফারুক আবদুল্লার গাপকার রোডের বাসভবনের লনে বৈঠকে বসেন নেতানেত্রীরা। সেখানে ঐক্যমত হয়, যে কোনও মূল্যে রাজ্যের বিশেষ মর্যাদা (৩৫এ, ৩৭০ ধারা) বজায় রাখতে হবে। তাঁরা সবাই যৌথ বিবৃতিতে বলেছেন, ৩৭০ দারা ও ৩৫ এ ধারা অবলুপ্ত করার, তা সংশোধন করার বা সেগুলির কোনওরকম বদল ঘটানোর কোনওরকম চেষ্টা বরদাস্ত করা হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরে সাধারণ মানুষের  বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকারের আগ্রাসন চালানো কিছুতেই মেনে নেওয়া হবে না। জম্মু ও কাশ্মীরের স্বায়ত্ত্বশাসন অটুট রাখতে হবে। জম্মু কাশ্মীর নিয়ে কেন্দ্র যা যা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, তা সব কিছু উপত্যকার রাজনৈতিক দলগুলিকে জানাতে হবে। রাজ্যের মানুষের শান্তিও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয় এমন কোনওপদক্ষেপ কেন্দ্র নিতে পারবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: অমরনাথ যাত্রায় হামলার ছক কষেছিল জঙ্গি মাসুদ আজহারের ভাই! ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য]

এই বৈঠকের কয়েক ঘণ্টা পরই ওমর আবদুল্লা টুইট করেন, তিনি আশঙ্কা করছেন তাঁকে গৃহবন্দি করা হবে। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতি এবং সাজ্জাদ লোনকে গৃহবন্দি করার কথা ঘোষণা করা হয়। রাজ্যের কোনও প্রান্তে আর কোনও মিটিং-মিছিল করা যাবে না। উপত্যকার প্রভাবশালী নেতারা যাতে কোনওভাবে সাধারণ মানুষের সঙ্গে বা দলীয় কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারেন, তা নিশ্চিত করতে চাইছে সরকার, এমনটাই দাবি বিরোধীদের। গৃহবন্দি হওয়ার পর মেহবুবা মুফতির টুইট, “আমাদের মতো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের এভাবে গৃহবন্দি করে রাখাটা মেনে নেওয়া যায় না। গোটা পৃথিবী দেখছে কাশ্মীরে কীভাবে মানুষের কণ্ঠস্বর দামিয়ে রাখা হচ্ছে।” ওমর আবদুল্লা আবার কাশ্মীরের পাশাপাশি, জম্মু এবং লাদাখের মানুষকেও শান্ত থাকতে অনুরোধ করছেন। তিনি বলছেন, “কাশ্মীরবাসীকে বলছি, আমরা জানি না আমাদের জন্য কী অপেক্ষা করে আছে। তবে, আমি বিশ্বাস করি আল্লাহ যা করেন মঙ্গলের জন্য করেন। সবাই ভাল থাকুন, আর দয়া করে শান্ত থাকুন।”

Advertisement

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ