সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংবাদপত্রের প্রথম পাতাজোড়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি৷ বিজ্ঞাপনটি যেদিন দেশের প্রায় প্রতিটি প্রথম সারির সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছিল, সেদিন থেকেই বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল৷ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল একাধিকবার অভিযোগ তুলেছেন, দেশের প্রধানমন্ত্রীর ছবি কী করে কোনও বেসরকারি পণ্যের বিজ্ঞাপনে ব্যবহার করা যেতে পারে? এর পিছনে কোনও গোপন আর্থিক আঁতাত নেই তো? টুইটারে, সোশ্যাল মিডিয়াতেও এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা শুরু হয়৷ রিলায়েন্স জিও-র কর্ণধার মুকেশ অম্বানির সঙ্গে নরেন্দ্র মোদির গোপন সমঝোতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরোধীরা৷ তাঁদের অভিযোগ ছিল, মুনাফা লুঠতে জিও-কে অবৈধ সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছে কেন্দ্র, এবং পুরো বিষয়টি হচ্ছে মোদির অঙ্গুলিহেলনে৷
বৃহস্পতিবার যাবতীয় বিতর্ক থেকে হাত ধুয়ে ফেলল প্রধানমন্ত্রীর দফতর৷ সাফ জানিয়ে দিল, রিলায়েন্স জিও-কে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ কোনও সংবাদপত্র বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমকে মোদির ছবি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ সমাজবাদী পার্টির নীরজ শেখরের এক প্রশ্নের জবাবে রাজ্যসভায় বিবৃতিও দেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্যবর্ধন সিং রাঠৌর৷ তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল৷ তাঁর সংযোজন, প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে কাউকেই তাঁর ছবি ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়নি৷ এ প্রসঙ্গে নীরজ শেখর জানতে চান, মোদির ছবি ব্যবহারের জন্য রিলায়েন্স জিও-কে শাস্তি দেওয়া হবে কি না! সরাসরি উত্তর এড়িয়ে যান রাঠৌর৷ তিনি এখন বল ঠেলে দিয়েছেন ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রকের কোর্টে৷