সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একুশের আগে রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেস তথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) কোণঠাসা করার লক্ষ্যে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি। প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক, দুই দিক থেকেই এরাজ্যের শাসক শিবিরকে খাদের কিনারে ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে কেন্দ্রের শাসক শিবির। ভোটের আগে দল ভাঙানো হোক, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের হুমকি দেওয়া হোক কিংবা রাজ্যের আইপিএসদের ডেপুটেশনে ডাকা, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চাপে রাখার সবরকম কৌশলই অবলম্বন করছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীর ‘অসময়ের বন্ধু’রা একে একে তাঁর পাশে দাঁড়ানো শুরু করলেন।
BJP has launched it’s pre-election surgical strike in W Bengal already. Pl be prepared for the post-election one. Nothing but a comprehensive win for TMC is the need of the hour.
— Yashwant Sinha (@YashwantSinha) December 18, 2020
আইপিএস ইস্যুতে গতকাল সকালেই মমতাকে সমর্থন করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। রাতের দিকে সার্বিকভাবে মমতার পাশে থাকার বার্তা দিলেন বাজপেয়ী জমানার মন্ত্রী তথা মোদি-শাহদের বিরাগভাজন প্রাক্তন বিজেপি নেতা যশবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। তিনি বলছেন, বাংলা দখলের জন্য সার্জিক্যাল স্ট্রাইক শুরু করেছে বিজেপি। আর এই সার্জিক্যাল স্ট্রাইক যে শুধু ভোটের আগে হবে তাই নয়, ভোটের পরেও হতে পারে। গতকাল রাতে এক টুইটে প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী বলেছেন,”নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে নেমেছে বিজেপি। নির্বাচনের পরে আরও এক দফার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সে কারণে, তৃণমূলকে ভোটে বিপুল সংখ্যক আসন নিয়ে জিতে আসতে হবে। অন্য কোনও বিকল্প নেই। এটাই এখন সময়ের দাবি।”
বস্তুত, গত কয়েকদিনে এ রাজ্যের শাসকদলের বেশ কিছু নেতা দল ছেড়েছেন। অমিত শাহ্র হাত ধরে তাদের অনেকেই শামিল হবেন বিজেপিতে। যশবন্তর আশঙ্কা, ভোটের আগে দল ভাঙিয়ে যদি মমতাকে হারানো না যায়, তাহলে ভোটের পরেও একই খেলা খেলবে গেরুয়া শিবির। সাম্প্রতিক অতীতে গোয়া, মণিপুর, কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্যে ভোটের পর দল ভাঙানোর এই খেলা দেখাও গিয়েছে। তাই সুপরামর্শদাতার মতো যশবন্ত মমতাকে আগেভাগে সাবধান করে দিলেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.