সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরপর পাঁচ বছর নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন মহাত্মা গান্ধী। কিন্তু ভাগ্যের পরিহাস। শেষ পর্যন্ত নোবেল পুরস্কার অধরাই রয়ে গেল তাঁর কাছে। কিন্তু কেন? গান্ধীজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে ফের উঠে এল সেই প্রশ্ন।
দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে তিনবার নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছিলেন গান্ধীজি। তার মধ্যে দু’বার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে, আর একবার ১৯৪৬ সালে। স্বাধীনতার বছর ও তার পরের বছরও গান্ধীজির নাম নোবেল পুরস্কারের জন্য শর্ট লিস্টেড হয়েছিল। কিন্তু কোনওবারই পুরস্কার পাননি তিনি। তার কারণও অবশ্য জানিয়েছেন নরওয়েজিন নোবেল কমিটির সেক্রেটারি জেইর লিন্ডেস্টাড। তিনি বলেছেন, “এটা ঐতিহাসিক সত্য যে গান্ধীজি নোবেল পুরস্কার পাননি।”
[ আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ১১দিন বন্ধ ব্যাংক! প্রস্তুতি নিন এখনই ]
বহু বছর ধরে যে ঘরে বসে পুরস্কার প্রাপকদের নাম ঠিক করে নোবেল কমিটি, সেখানে বসেই লিন্ডেস্টাড জানান, এর পিছনে সম্পূর্ণভাবে দায়ী ছিল ইউরোপিয় মানসিকতা। নোবেল পুরস্কার কারা পাবেন, তা যাঁরা ঠিক করতেন, তাঁরা ইউরোপিয় ছিলেন। আর সেই কারণেই গান্ধীজির স্বাধীনতা সংগ্রামকে ছোট করে দেখেছিলেন ও দেখিয়েছিলেন তাঁরা। উলটে অনেক কম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন। গান্ধীজির সঙ্গতিহীন শান্তিবাদেরও বিরোধিতা করেছিলেন তাঁরা। তবে ১৯৪৮ সালে প্রায় স্থির হয়েই গিয়েছিল নোবেল পাবেন গান্ধীজি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, নোবেল পাওয়ার আগেই তিনি মারা যান।
আজ, গান্ধীজির ১৫০তম জন্মবার্ষিকীতে দেশ তথা বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় পালন করছেন মানুষ। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসক-বিরোধী প্রায় সব রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীরাই দিল্লির রাজঘাটে গিয়ে জাতির জনককে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন। পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বুধবার সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে ‘গান্ধী সংকল্প যাত্রা’র সূচনা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। তারপর গোটা দেশজুড়েই শুরু হয়ে যায় ১২০ দিনের এই কর্মসূচি। এর পাশাপাশি আজকে গোটা দেশজুড়ে পদযাত্রা করছে কংগ্রেস। দিল্লিতে আয়োজিত পদযাত্রায় অংশ নিতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকেও।