Advertisement
Advertisement

পুলিশের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ, তদন্ত চলাকালীন আত্মঘাতী কিশোরী

উঠল সিবিআই তদন্তের দাবি।

Gangraped by cops girl ends life in Odisha
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 23, 2018 1:00 pm
  • Updated:January 23, 2018 1:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওড়িশায় চারজন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ তুলেছিল এক কিশোরী। তদন্তও চলছে। কিন্তু, আচমকাই নিজের বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল নির্যাতিতা। ঘটনায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এলাকা। সিবিআই তদন্তের দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। মৃত কিশোরীর বাড়িতে যান বিরোধী দলের নেতারা। এদিকে, শাসকদলের স্থানীয় বিধায়ক প্রফুল্ল কুমার পাংগি আবার বলেছেন, ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের মেলেনি।  বিষয়টি পরিবারের লোককে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।

[প্রাপ্তবয়স্ক হাদিয়ার বিয়ে নিয়ে এনআইএ তদন্ত নয়: সুপ্রিম কোর্ট]

Advertisement

ওড়িশার কোরাপুট জেলা মাওবাদী অধ্যূষিত বলে পরিচিত। এই  জেলায় তিনজন সশস্ত্র পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে স্থানীয় এক কিশোরীকে গণধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগকারী নবম শ্রেণির ছাত্রী। ওই কিশোরীর অভিযোগ, গত বছরের ১০ অক্টোবর তাকে গণধর্ষণ করেছে ওড়িশা পুলিশের ৪ জন সশস্ত্র নিরাপত্তাকর্মী। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে। তদন্ত চলাকালীনও কিশোরীকে হেনস্তার অভিযোগ উঠেছিল। সোমবার সন্ধেবেলায় কোরাপুর জেলার মুসাগুড়া গ্রামে নিজের বাড়িতে গলা দড়ি নিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। ঘটনাটি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। ওই কিশোরীর দেহ নিয়ে গ্রাম লাগোয়া জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে শামিল হন বিরোধী দলের নেতারা। বিক্ষোভকারীদের দাবি, কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশকর্মীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে এবং সিবিআইকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করাতে হবে। পরিবারের লোকেদের দাবি, অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য তাঁদের লাগাতার চাপ দিচ্ছে পুলিশ। এমনকী, বিষয়টি লঘু করার জন্য সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে ভুয়ো মেডিক্যাল রিপোর্ট লিখতে বাধ্য করেছে পুলিশ। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, নির্যাতিতার ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মেলেনি। গত নভেম্বর মাসেও একবার অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল ওই কিশোরী। তবে সেবার বেঁচে গিয়েছিল সে।

Advertisement

[স্বামী-দেওরের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ]

তবে পরিবারের লোকেরা যাই অভিযোগ করুন না কেন, ডাক্তারি রিপোর্টকে মান্যতা দিয়েছে শাসক বিজেডির স্থানীয় বিধায়ক প্রফুল্ল কুমার পাংগি। তাঁর বক্তব্য, ‘ আমি জানি না, কেন ও এইসব কথা বলেছিল। ডাক্তারি রিপোর্টে ধর্ষণের কোনও প্রমাণ মেলেনি।’ এদিকে কিশোরীর আত্মহত্যার ঘটনায় চাপে পড়ে গিয়েছে পুলিশ। কারণ, বিস্তর অভিযোগ করলেও, ওই কিশোরীর দেহের ময়নাতদন্ত করার অনুমতি দিতে নারাজ পরিবারের লোকেরা।

[৯ মাসের শিশুকে কোলে নিয়ে বহুতল থেকে ঝাঁপ দিলেন মা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ