সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : সমুদ্রের গভীরে মিলল গুপ্তধনের হদিশ। জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার গবেষকরা এই গুপ্তধনের খোঁজ পেয়েছেন। তাও আবার ভারতীয় জলসীমার মধ্যেই। কয়েক মিলিয়ন টন দুর্মূল্য ধাতু, খনিজ পদার্থের আবিষ্কারকে গুপ্তধন হিসেবেই দেখছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। মূলত ভারতীয় ভূখণ্ডের উপদ্বীপ সংলগ্ন এলাকায় আবিষ্কার হয়েছে।
এই প্রচুর পরিমাণ সম্পদের সন্ধান প্রথম মেলে মেঙ্গালুরু, চেন্নাই, মান্নার বেসিন, আন্দামান-নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ ও লাক্ষাদ্বীপ সংলগ্ন সমুদ্রের অতলে। ২০১৪ সালের গোড়ার কথা। তখন থেকেই শুরু হয়েছিল প্রাকৃতিক সম্পদের খোঁজ। তিনবছর পর মিলল সাফল্য। ভারতের দ্বীপ সংলগ্ন এলাকার জলে বিজ্ঞানীরা পেয়েছিলেন প্রচুর পরিমাণে লাইম মাড, ক্যালকেরাস ও ফসফেট সমৃদ্ধ পদার্থ,হাইড্রোকার্বন,মেটালিফরাস ডিপোজিট ও মাইক্রো ডুলসের মতো খনিজ ও যৌগ। বিজ্ঞানীরা বুঝেছিলেন সমুদ্রের গভীরে প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক সম্পদ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সামনে রেখেই তল্লাশি চলে, চলে গভীর থেকে গভীরে অভিযান।
[আন্টার্কটিকায় বেড়াতে যেতে চান? স্বপ্নপূরণ করবে এই সংস্থা]
তিন বছর অভিযানের পর জিওলজিকাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া ১৮১,০২৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাকে হাই রেজোলিউশন সমুদ্র খাত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ভারতীয় ইকনমিক জোনের মধ্যেই ১ হাজার কোটি টন লাইম মাড মিলবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। এছাড়াও কারওয়ার, মেঙ্গালুরু ও চেন্নাই উপকূল থেকে ফসফেট কণা,আন্দামান সাগর থেকে কোবাল্ট ও ফেরো ম্যাঙ্গানিজ, লাক্ষাদ্বীপ থেকে মাইক্রো ম্যাঙ্গানিজ কণা পাওয়া যাবে বলে জানাচ্ছেন তাঁরা। সমুদ্র সৌদিকমা, সুমদ্র রত্নাকর ও সমুদ্র কৌস্তুভ নামের তিনটি জাহাজ এই পর্যবেক্ষণ ও অভিযানের সঙ্গী ছিল।