সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নির্বাচনে মেয়েদের প্রার্থী করা ইসলাম বিরোধী। এর ফলে মুসলিম ধর্ম দুর্বল হচ্ছে। এবার বিতর্কিত নিদান দিলেন আহমেদাবাদের জামা মসজিদের শাহী ইমাম (Imam of Jama Masjid)। তাঁর বক্তব্য, মেয়েরা যদি পুরুষদের মতো প্রার্থী হন, তাহলে হিজাব সংস্কৃতি রক্ষা হবে কীভাবে? শাব্বির আহমেদ সিদ্দিকি নামের ওই মুসলিম ধর্মগুরুর দাবি, অসৎ উদ্দেশ্যেই মুসলিম মহিলাদের প্রার্থী করে রাজনৈতিক দলগুলি।
#WATCH | Those who give election tickets to Muslim women are against Islam, weakening the religion. Are there no men left?: Shabbir Ahmed Siddiqui, Shahi Imam of Jama Masjid in Ahmedabad#Gujarat pic.twitter.com/5RpYLG7gqW
— ANI (@ANI) December 4, 2022
সংবাদসংস্থা ANI-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে আহমেদাবাদের জামা মসজিদের (Jama Masjid) শাহী ইমাম বলেছেন,”আপনি যদি মহিলাদের বিধায়ক, মন্ত্রী বা কাউন্সিলর বানান, তাহলে হিজাবের দাবি দুর্বল হয়ে যাবে। তখন সরকার বলবে আপনাদের মেয়েরাই তো সংসদ, বিধানসভা, পুরসভায় বসে আছেন।” ইমামের বক্তব্য, মহিলারা ভোটের প্রার্থী হলে তাঁদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে হবে। সবার সঙ্গে কথা বলতে হবে। সব ধর্মের পুরুষের সঙ্গে কথা বলতে হবে, সেটা ইসলাম বিরোধী।
[আরও পড়ুন: জালিয়াতি ঠেকাতে নয়া নিয়ম কেন্দ্রের, ওষুধেও এবার QR কোড আবশ্যিক]
শাব্বির আহমেদ সিদ্দিকির (Shabbir Ahmed Siddiqui) প্রশ্ন, পুরুষের কি অভাব পড়েছে? কেন মহিলাদের প্রার্থী করা হচ্ছে? তিনি বলছেন, মুসলিম মহিলাদের টিকিট দেওয়াটা আসলে রাজনৈতিক দলগুলির ষড়যন্ত্র। ওরা ভাবে এখন মহিলারাই গোটা পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করে। একজন মহিলাকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই গোটা পরিবারকে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
[আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! মন্দিরে প্রণাম করার পরই মৃত্যু ভক্তের, ভিডিও দেখে চোখে জল নেটিজেনদের]
প্রশ্ন উঠছে গোটা বিশ্ব যখন ক্রমেই হিজাব বর্জনের দিকে এগোচ্ছে। ইরানের মতো রক্ষণশীল দেশেও যখন হিজাব (Hijab) বর্জনের দাবিতে সাধারণ নাগরিকরা পথে নামছেন, তখন ভারতের মতো উদারনৈতিক দেশে স্রেফ হিজাব সংস্কৃতির দোহাই দিয়ে মহিলাদের রাজনীতির ময়দান থেকে দূরে রাখার নিদান কতটা সমর্থনযোগ্য?