Advertisement
Advertisement

‘প্রভাবশালী’, ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ বলেই ফের বন্দি ওমর, মেহবুবা

জন নিরাপত্তা আইনের নথিতে দাবি।

Government Dossier On Tough Charges Against Mufti, Omar
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 10, 2020 9:20 am
  • Updated:February 10, 2020 9:20 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন ফের গৃহবন্দি করা হয়েছে ওমর  আবদুল্লা, মেহবুবা মুফতিকে তার প্রশাসনিক ব‌্যাখ‌্যা দিল জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসন। সরকারি নথিতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘কাশ্মীর উপত‌্যকা-সহ হাতে গোনা কয়েকটি জেলায় ওমর আবদুল্লার উল্লেখযোগ‌্য প্রভাব রয়েছে। কিন্তু সবটাই নেতিবাচক প্রভাব বলে মনে করছে প্রশাসন। কারণ ওমরের এই প্রভাব ভারতের জাতীয় সংহতি, কাশ্মীরের ভারতভুক্তির পক্ষে কোনও উপকারেই লাগবে না। উলটে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রশাসনের বিপক্ষে, ভারত সরকারের বিপক্ষে, ভারতের নিরাপত্তাবাহিনীর বিপক্ষে স্থানীয় মানুষজনকে উসকানি দিতে ওমর তাঁর প্রভাব কাজে লাগাতে পারেন।

মেহবুবা মুফতি প্রসঙ্গে ওই নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, মেহবুবার অবস্থান ও বক্তব‌্য পুরোটাই বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে। কোনও রাখছাক না করেই ঘোষিতভাবেই ভারত বিরোধী স্ট‌্যান্ড নিয়েছেন তিনি। তাই তাঁকে প্রকাশ্যে রাজনৈতিক কাজকর্ম করতে দেওয়া জন নিরাপত্তা আইনের দৃষ্টিতে বিপজ্জনক।

Advertisement

প্রশাসনের ডসিয়ারে বলা হয়েছে, ইউএপি-আইনে জামাত-ই-ইসলামি দলকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এটি কাশ্মীরের পাকিস্তানপন্থী বিচ্ছিন্নতাবাদী দল। এদের সমর্থনে গলা ফাটাচ্ছেন মেহবুবা। তাঁর বক্তব‌্য ও অবস্থান জম্মু-কাশ্মীর লিবারেশন ফ্রন্ট (জেকেএলএফ) -এর সঙ্গেও মিলে যাচ্ছে। সরকারি নথিতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত রাজ্যের মুখ‌্যমন্ত্রী ছিলেন ৪৯ বছরের ওমর। ইউপিএ সরকারের বিদেশমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রীও ছিলেন তিনি। নিজের একটা শক্তপোক্ত ভোট ব‌্যাংক রয়েছে পিপলস কনফারেন্স নেতা ওমরের। ৩৭০ ধারা বিলোপের বিরোধিতা করতে গিয়ে তিনি ভারত সরকারের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার চালাচ্ছেন। তাই তাঁকে মুক্তি দিলে আইন শৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে।

Advertisement

ডসিয়ারে বলা হয়েছে, ‘কাশ্মীরে ব্যাপক জঙ্গি আধিপত্য এবং ভোট বয়কটের সময়েও তিনি ভোট পাওয়ার এবং জেতার ক্ষমতা রাখতেন। এ হেন ব‌্যক্তি যখন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধাচারণ করছেন তখন তাঁকে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সুয়োগ দেওয়াটা খুব ঝুঁকির হবে। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ভোট বয়কটের ডাকের মধ্যেও ভোটারদের বাইরে আনার ক্ষমতা রাখতেন।’ ডসিয়ারে লেখা হয়েছে, ‘৬০ বছরের বয়সী মেহবুবা ও ওমর দু’জনেই ভারত সরকারের বিরুদ্ধে আন্দেলনের নামে ভারত বিরোধী প্ররোচনামূলক অবস্থান িনয়েছেন। এতে বিচ্ছিন্নতাবদীদের হাতই শক্ত হবে।’

৫ আগস্ট ৩৭০ ও ৩৫-এ ধারা বিলোপ করার পর থেকেই ওমর, মেহবুবা সহ কাশ্মীরের বেশিরভাগ রাজনৈতিক নেতাকেই গৃহবন্দি করে রেখেছিল প্রশাসন। তাঁরা বর্হিজগতের সঙ্গে যোগাযোগ করতেও পারছিলেন না। টু-জি ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়েছে কাশ্মীরজুড়ে। কিন্তু সোশ‌্যাল মিডিয়া ব‌্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে এখনও। কয়েকদিন আগে গৃহবন্দি দশা থেকে অনেক নেতা-নেত্রীকে প্রশাসন মুক্তি দিলেও জন নিরাপত্তা আইনে ফের আটক করা হয়েছে ওমর, মেহবুবা সহ কয়েকজনকে।

২০১৯ এর ৫ অগস্ট থেকে ফৌজদারি আইনের ১০৭ ধারায় আটক রয়েছেন ওমর আবদুল্লা। এই আইনে, ২০২০ এর ৫ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ ৬ মাস পর তাঁর আটকের মেয়াদ শেষ হওয়ার ছিল। তবে ৫ জানুয়ারি, ওমর আবদুল্লা এবং আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতির বিরুদ্ধে জন সুরক্ষা আইন লাগু করে সরকার। কোনও বিচার ছাড়াই এই আইনে ৩ মাস আটক করে রাখা যাবে তাঁদের এবং তা এক বছর পর্যন্তও বাড়ানো হতে পারে।

[আরও পড়ুন: ‘আমার নাম জপলেই মিলবে আরোগ্য’, করোনা তাড়াতে দাওয়াই নিত্যানন্দের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ