Advertisement
Advertisement
SC Judge

বিধানসভায় পাশ বিল আটকে রাখা যায় না! রাজ্যপালদের ‘হুঁশিয়ারি’ সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির

কর্তব্য পালন করুন, রাজ্যপালদের পরামর্শ বিচারপতি নাগরত্নর।

Governors should do their duty Said SC judge BV Nagarathna
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:March 31, 2024 2:06 pm
  • Updated:March 31, 2024 5:32 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিধানসভায় পাশ হওয়া রাজ্য সরকারের বিল আটকে রাখছে কিছু রাজ্যপাল। এই বিষয়ে সরাসরি মুখ খুললেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) বিচারপতি বি ভি নাগারত্ন (BV Nagarathna)। সম্প্রতি হায়দরাবাদের (Hyderabad) নালসার বিশ্ববিদ্যালয়ে (Nalsar University of Law) আইন বিষয়ক একটি কর্মশালায় যোগ দেন তিনি। সেখানেই নিজের ভাষণে বিচারপতি নাগরত্ন বলেন, কিছু রাজ্যপাল রাজ্যের বিলে সম্মতির বদলে আটকে রাখছেন। প্রত্যেক রাজ্যপালের নিজের কর্তব্যপালন করা উচিত। এই বিষয়ে আদালতের নির্দেশিকা জারি ভালো দেখায় না।

নালসার বিশ্ববিদ্যালয়ে আদালত এবং সংবিধান বিষয়ক কর্মশালার সূচনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নাগরত্ন। নিজের ভাষণে বিজেপি সরকারের নোটবন্দির সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, নোটবন্দির সুবিধা নিয়েছে কালো টাকার কারবারিরা, হেনস্তার শিকার হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এইসঙ্গে সাম্প্রতিকালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নিয়ে কড়া মন্তব্য করেন নাগরত্ন। বলেন, ইদানীংকালে দেশে রাজ্যপালদের মধ্যে নতুন একটি বিষয় চোখে পড়ছে। বিল আটকে রাখবেন না, সংবিধান মেনে কর্তব্যপালন করুন, রাজ্যপালকে এমন নির্দেশ দেওয়া আদালতের জন্য অস্বস্তির।

Advertisement

 

Advertisement

[আরও পডুন: ‘কুরুক্ষেত্র’ বারাকপুর, পার্থ-অর্জুনের ‘মহাভারতে’ শেষ হাসি কার? ফ্যাক্টর হবে বামেরা?]

প্রসঙ্গত, কেরলে রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান ও বাম সরকারের সংঘাত চরমে পৌঁছেছে। কেরালা ও কালিকট বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য হিসাবে রাজ্যপালের মনোনীত লোকজনকে সেনেটে নিয়োগ নিয়ে মতান্তরের সূত্রপাত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নের অভিযোগ, সঙ্ঘ পরিবারের লোকজন দিয়ে সেনেট ভরে দিয়েছেন রাজ্যপাল আরিফ মহম্মদ খান। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ কর্মসূচি নিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-ও।

 

[আরও পড়ুন: ‘ছাপরির বউ ছাপরি’, হার্দিকের ‘দুর্দিনে’ নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার স্ত্রী নাতাশা]

মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন অভিযোগ করেছেন, একের পর এক উস্কানিমূলক কাজ করে কেরলে অশান্তির পরিবেশ তৈরি করছেন রাজ্যপাল। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বিজয়নকে ‘খুনি’ এবং ‘মাস্তান’ বলে অভিহিত করেছেন রাজ্যপাল। এইসঙ্গে জানিয়ে দেন, নিজের অধিকার প্রয়োগের ক্ষেত্রে তিনি মাথা নত করবেন না। এই অবস্থায় বিধানসভায় পাশ হওয়া একাধিক বিল আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে। মনে করা হচ্ছে, সেই বিষয়টিকে মাথায় রেখেই বিচারপতি নাগরত্ন সাম্প্রতিক মন্তব্য করেছেন। উল্লেখ্য, বাংলাতেও রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাতের জেরে কম নিউজপ্রিন্ট খরচ করেনি সংবাদমাধ্যমগুলি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ