সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিজিটাল ইন্ডিয়া। প্রযুক্তির উপর ভর করে তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে উন্নয়ন। নিদর্শন কম নেই। একদিকে দ্রততম ট্রেনের প্রস্তুতি চলছে, অন্যদিকে লোহিত নদীর উপর গর্বের প্রতীক হিসেবে দাঁড়িয়ে এশিয়ার দীর্ঘতম সড়ক সেতু ধলা-শদিয়া। প্রদীপের উপরিভাগে যতটা আলো, ততটাই অন্ধকার নিম্নভাগে। সম্প্রতি, এমনই নিদর্শন মিলল সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর পোস্ট করা একটি ভিডিওতে। যেখানে স্পষ্ট ডিজিটাল ইন্ডিয়ার কঙ্কালসার চেহারা।
[মিলল না শববাহী যান, মোটরবাইকে মায়ের মৃতদেহ মর্গে নিয়ে গেলেন ছেলে]
#WATCH: School children crossing a bridge between Naika & Bherai village of Kheda district. The bridge broke down 2 months ago. #Gujarat pic.twitter.com/7ToM5W783I
— ANI (@ANI) July 11, 2018
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের খেড়া এলাকার এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্কুলের যাওয়ার তাগিদে প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে ভেঙে পড়া ব্রিজের পাশ দিয়ে খাল পারাপার করছে স্কুলের খুদে পড়ুয়ারা।
[প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত মণিপুর, ভূমিধসে মৃত ৯]
আজ থেকে নয়, গত দু’মাস ধরে এমনভাবেই রোজ প্রাণের ঝুঁকি নিতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। জানা গিয়েছে, দুই মাস আগেই ভেঙে পড়েছিল সেতুটি। যা স্থানীয় নায়কা ও ভেরাই গ্রামের একমাত্র সংযোগ রক্ষার উপায়। বারবার স্থানীয় প্রশাসনকে সেতু সারানোর কথা বলা হয়েছে। কোনও লাভ হয়নি বলেই অভিযোগ স্থানীয়দের। স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, সেতু দিয়ে গেলে যেখানে মাত্র ১ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে স্কুলে পৌঁছানো যায়, সেখানে অন্য পথ দিয়ে গেলে ১০ কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করতে হয়। অগত্যা ভাঙা সেতুর পাশ দিয়ে এভাবেই প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সকলকে পারাপার হতে হয়। বাদ যায় না স্কুল পড়ুয়ারাও। যেকোনও মুহূর্তে বড় বিপদ ঘটে যেতে পারে। অথচ প্রায় দু’মাস ধরে সেতু সারানোর বিষয়ে উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন। খেড়ার জেলাশাসক আই কে প্যাটেল বলেন, ‘বৃষ্টির কারণেই কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে। বৃষ্টি কমে গেলেই সেতু সারানোর কাজ শুরু হবে।’
[দুর্ঘটনার কবলে পড়ে কাতর আর্তনাদ আহতদের, সেলফি তুলতে ব্যস্ত পথচারী]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.