Advertisement
Advertisement

Breaking News

নোট বদলাতে বিপাকে পড়েছিলেন রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনরও!

মেয়াদ বাড়াতে চায়নি সরকার, দাবি রাজনের।

Had come back to India to exchange scrapped notes: Raghuram Rajan

ফাইল চিত্র।

Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 8, 2017 3:45 am
  • Updated:September 8, 2017 3:56 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নোট বাতিলের পর সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ ভোলার নয়। এখনও মাঝেমধ্যে খবর আসে কেউ কেউ নানা কারণে পুরনো নোট জমা দিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের দরজায় হত্যে দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষের মতো বাতিল নোট নিয়ে একইরকম উদ্বেগে ছিলেন খোদ রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনর। আমেরিকা থেকে কয়েক হাজার কিলোমিটার পথ উজিয়ে রঘুরাম রাজনকে ভারতে আসতে হয়েছিল। উদ্দেশ্য পুরনো নোট পালটানো।

[নোট বাতিলে ক্ষতি হবে জানিয়েছিলাম, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি রঘুরাম রাজনের]

Advertisement

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর হিসাবে কাজ শেষ করার পর গত বছরের সেপ্টম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান রাজন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে ছিল বেশ কিছু পুরনো ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট। গত সপ্তাহে তিনি ভারতে এসেছেন। নিজের লেখা বইয়ের প্রকাশ ছাড়াও একাধিক কর্মসূচি রয়েছে রঘুরাম রাজনের। এই সফরে এসে তিনি নিজের সঙ্গে থাকা বাতিল নোট ফেরতের গল্প শোনালেন। জানালেন নোট বাতিলের জন্য ঠাসা কাজের মধ্যেও তাঁকেও ভারতে আসতে হয়েছিল। তবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনের কাছে কত অঙ্কের পুরনো নোট ছিল তা অবশ্য জানা যায়নি। এই মুহূর্তে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপনায় ব্যস্ত রাজন। দিল্লিতে নিজের বইয়ের প্রমোশোনে তিনি জানান ঠিকমতো প্রস্তুতি ছাড়া নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত অর্থনীতির পক্ষে খারাপ হতে পারে। নোট বাতিলে ঘা শুকোনোর মধ্যেই জিএসটি চালু হওয়া নিয়েও রাজন মুখ খুলেছেন। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গর্ভনরেরে মতে দীর্ঘ মেয়াদে জিএসটিতে লাভ হলেও, শুরুতে তার অনিশ্চয়তা অর্থনীতিকে পিছু টেনেছে। আর, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের শীর্ষে থাকার সময় নোট বাতিলের সুফল-কুফল বিচার করে সরকারকে তা না করারই পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

[চিনা ‘চক্রান্ত’ ফাঁস করলেন সেনাপ্রধান রাওয়াত, চটে লাল বেজিং]

সরকারের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তিনি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর পদে আরও দুবছর থাকেননি বলে জানিয়েছেন রাজন। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় ছুটি না দেওয়ায় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গর্ভনর হিসাবে কার্যকালের মেয়াদ দু বছর বাড়ানো হয়নি। এমন তত্ত্ব ঠিক নয় বলেও জানিয়েছেন রাজন। তাঁর সংযোজন সরকার তাঁর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কোনও চুক্তিই করেনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ