সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার আগে নিজের বিয়ে সারলেন গুজরাটের পাতিদারের নেতা হার্দিক প্যাটেল। শৈশবের বন্ধু কিঞ্জল পারিখকে বিয়ে করলেন। রবিবার গুজরাটের সুরেন্দ্রনগর জেলায় অনাড়ম্বরভাবে শুভকাজ শেষ করেন তিনি। বয়স মাত্র ২৫। এরমধ্যেই পাতিদার আনামত আন্দোলন সমিতির প্রধান তিনি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন হার্দিকের বন্ধু ও আত্মীয়রা। বিয়ের পর সাংবাদিকদের হার্দিক জানান, দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করলেন তিনি।
বিয়ের পর সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে হার্দিক বলেন, “আমার প্রধান লক্ষ্য, প্রত্যেকে যাতে সমান অধিকার পায়। আমরা দেশের নবনির্মাণের জন্য লড়াই করছি। সত্যের জন্য আমরা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়াই করব। মানুষের জন্য ও সাম্যের জন্য লড়াই করব।” কয়েকদিন আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্রিগেড জনসভায় বিরোধী দলের নেতাদের মধ্যে দেখা গিয়েছিল হার্দিক প্যাটেলকে। বিয়ের জন্য একটু প্রচারের আলো থেকে দূরে ছিলেন তিনি। রবিবার রাতে ছোটবেলার বন্ধু কিঞ্জলকে বিয়ে করলেন। আমেদাবাদে রিসেপশনের আয়োজন করা হয়েছে।
[‘বাড়াবাড়ি করছে কংগ্রেস’, পদত্যাগের হুমকি কুমারস্বামীর]
পাত্রী কিঞ্জলের পরিবার বর্তমানে সুরাটের বাসিন্দা। আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। আগে একসময় দুই পরিবারই আমেদাবাদের বীরগ্রামের বাসিন্দা ছিল। ২০১৬ সালের মার্চে প্রথমবার হার্দিক ও কিঞ্জলের বিয়ে ঠিক হয়। তখন রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে জেল খাটছেন হার্দিক। পাতিদার সম্প্রদায়ের মানুষের সরকারি চাকরি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণের দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে জনপ্রিয় হন হার্দিক। তারপরই রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে জেল হয় তাঁর। এবার নিজের রাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধেই লড়াই শুরু করেছেন। লোকসভা ভোটে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে বিরোধীদের সঙ্গে প্রচার চালাবেন হার্দিক।
Congratulations #hardikpatel pic.twitter.com/hofyrrYg8b
— Virat Patel (@ViratPa00215994) January 27, 2019